Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,শনিবার ০৪ জুলাই , ২০২০:   করোনা ভাইরাস ঠেকাতে লকডাউন পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকা। আজ ভোর ছয়টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার মানুষের যাতায়াত। সড়ক, গলি ও গলির মুখ বাঁশের প্রতিবন্ধক তৈরি করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করার পর রাজধানীতে দ্বিতীয় লকডাউন হলো ওয়ারী। আজ ভোর ছয়টায় ২১ দিনের জন্য পুরান ঢাকার এলাকাটির একাংশ লকডাউন কার্যকর হলো। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।

অবরুদ্ধ এলাকায় ৪ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি চলবে। তবে জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। লকডাউন চলাকালে হত দরিদ্রদের জন্য ত্রাণসহ অন্যান্য সহায়তা দেবে ডিএসসিসি। দুটি সড়ক ছাড়া ওয়ারীর বাকি সড়কের মুখ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস।

করোনা প্রকোপ শুরুর পর সারাদেশে দুই মাস লকডাউনের পর এখন করোনা সংক্রমণের দিকে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো অবরুদ্ধ করার কৌশল নিয়েছে সরকার।

করোনাভাইরাসের লাগাম টানতে এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার প্রথমে ২১ দিনের জন্য লকডাইন করা হয়। পরে আরও সাত দিন সময় বাড়ানো হয়। সেটই ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

রাজধানীর দ্বিতীয় লকডাউন এলাকা ওয়ারীর তিনটি রোড ও পাঁচটি গলি এর আওতায় রয়েছে। এগুলো হলো টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) পর্যন্ত। গলিগুলোর মধ্যে রয়েছে লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়ার স্ট্রিট, র‌্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।

এসব এলাকায় গত ১৪ দিনে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও অনেকে সংক্রমিত হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন এলাকায় সবকিছু বন্ধ থাকবে, শুধু ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। অতি প্রয়োজনীয় যাতায়াতের জন্য ওয়ারী এলাকার দুটি পথ খোলা থাকবে।

লকডাউন কার্যকরের আগে বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রতিটি রাস্তা ও গলির মুখ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতিন দিন মাইকিং করে লকডাউনের প্রস্তুতি এলাকাবাসীর কাছে তুলে ধরা হয়। ওয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

লকডাউন এলাকায় মানুষের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ, লকডাউনের কারণে কর্মহীনদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, টেলিমেডিসিন সার্ভিস, রোগী পরিবহন, প্রয়োজনীয় পণ্য হোম ডেলিভারি ও মনিটরিং কমিটিসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা হবে এসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়।