Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪  মঙ্গলবার ২৫ আগস্ট, ২০২০: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নির্মিত হয়েছে গীতিচিত্র ‘বাবা’। বাবা হারানো সন্তানদের শূন্যতা প্রতিফলিত হয়েছে গানটিতে।

গতানুগতিক ধারা থেকে একটু ভিন্ন পথে গিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে গীতিচিত্রটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহতদের বেঁচে যাওয়া সন্তান, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার ব্যাক্তিগত বেদনার গল্প তুলে ধরা হয়েছে এতে।

পরিচালক রেমন্ড সালোমন বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। শৈশব থেকে প্রতি বছর এই দিনে নানান আয়োজন দেখে আসছি। বিশেষ করে কাঙ্গালিভোজে দুস্থদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা, মঞ্চ থেকে নেতাদের বক্তৃতা, কর্মীদের রাজনৈতিক স্লোগান, মাইকে ভেসে আসা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, সংবাদ মাধ্যমে ঘটনার প্রচার। এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ জাতীয় শোক দিবস। কিন্তু এর বাইরেও আরেকটি গল্প আছে। যা আমাকে খুব নাড়া দিতো। সেটি হলো নিহতদের বেঁচে যাওয়া সন্তানদের ব্যাক্তিগত বেদনার গল্প। যে কয়জন স্বজন তাঁরা একসাথে হারিয়েছেন, ততগুলো কষ্টকে পৃথকভাবে একত্রেভেবে দেখার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। এতো ভয়ঙ্কর বেদনাকে অন্তরে ধারণ করাটা মানবতার পক্ষে সম্ভব নয়।’

তিনি আরও জানান, এমন নিষ্ঠুরভাবে যাঁদের পরিবারকে হত্যা করা হলো, সেইসব সন্তানদের ব্যাক্তি-জীবনের অকল্পনীয় কষ্টকে ফুটিয়ে তুলতেই ‘বাবা’ নামের গানটি লেখা এবং এর চিত্রায়ন নির্মাণ করা। শৈশব, কৈশর ও যৌবনের দুরন্তপনাগুলো নিয়ে আর দশ জনের মতো বাবার স্নেহে যারা বড় হতে পারতো, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কারণে তাদের জীবন থেকে সেই দুরন্তপনা, স্নেহ এবং স্মৃতি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। দেয়া হয়েছিল শূন্যতা। ‘বাবা’ গান এবং গীতিচিত্র সেই শূন্যতাকে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করেছে মাত্র।

অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত এই গীতিচিত্রটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহতদের বেঁচে যাওয়া সন্তানদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।

গীতিচিত্রটি রচনা, সুরারোপ, পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন সিডনিবাসী রেমন্ড সালোমন। গেয়েছেন সিডনির ইউটিএস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাফিসা শামা। সংগীত পরিচালনায় জেমস ইংল্যান্ড। মঞ্চসজ্জা ও শিল্প নির্দেশনা রায়হান শাহেদ, আলোকসজ্জায় ফাহাদ আসমার। সিনেমাটোগ্রাফি ও সম্পাদনায় শিমুল শিকদার।

গীতিচিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রহমতউল্লাহ, নাফিসা শামা, ফিত্রিয়া পূর্বাওয়াতি, শেখ দাইয়ান, শাহরিনা শারমিনসহ আরও অনেকে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন।