আজ বরিবার (৬ ডিসেম্বর) নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আক্রমণ করে না, কিন্তু আক্রমণের শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একবিন্দুও পিছ পা হয় না। বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানে মুক্তিযুদ্ধ, আর বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আক্রান্ত করা। আমি আমাদের কর্মীদের শান্ত রেখেছি, বেশি বাড়াবাড়ি করলে কেউ ঘরে বসে চুপ করে থাকবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা কারো স্বার্থের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, এবিএম রিয়াজুল কবির কাউছার। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মো. আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, নরসিংদী পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুলসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ইতিহাসের স্মারক হিসেবে মধ্য প্রাচ্যের প্রতিটি মুসলিম প্রধান দেশে নানা রকমের ভাস্কর্য রয়েছে। সেখানে কোনো দিন কোনো প্রশ্ন উঠেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আলেমরা, ইসলামী চিন্তাবিদরা কোনো দিন প্রতিবাদ করেনি। সেখানে বাংলাদেশে হঠাৎ করে কেন এত দ্বন্দ্ব। একটা শ্রেণির লোকজন উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। অর্ধশতক যুগের বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুদার ভাস্কর্য রয়েছে। সেই মধুদার ভাস্কর্যও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদেরও একটা ধৈর্যের সীমা আছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে দিবেন না। একটা মীমাংসীত বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না।