Mon. Apr 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,১৩জুলাই,২০২১ঃ কুমিল্লা শহরের কোতয়ালীর ট্রাংক রোডের চকবাজারে রয়েছে পদ্মা ব্যাংকের শাখা অফিস।সামশুন্নাহার টাওয়ারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় চলে ব্যাংকটির কার্যক্রম। আর এই শাখাতেই ঋণ বিভাগে সর্বসাকুল্যে ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরি করেন নুসরাত জাহান তানিয়া। কিন্তু পদ্মা ব্যাংকে সামান্য টাকার বেতনে চাকুরি করলেও নুসরাত পরিবার নিয়ে কুমিল্লা এবং ঢাকায় থাকেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে, চড়েন দামী গাড়িতে। শুধু তাই নয়- সম্প্রতি মারা যাওয়া ছোট বোন মোসারাত জাহান মুনিয়াকে রাজধানী অভিজাত এলাকা গুলশানে লাখ টাকার দামী ফ্ল্যাট ভাড়া করে দিয়েছিলেন নুসরাত নিজেই। কিন্তু অল্প টাকার বেতনে চাকুরি করলেও নুসরাত আর মুনিয়া বিলাসীজীবন যাপন কিভাবে করতো? এমন বিলাসিতার কাড়ি কাড়ি টাকা কোথা থেকে আসতো? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক করতো কুমিল্লার চকবাজার শাখার ব্যাংকের একাধিক সহকর্মীসহ নুসরাতের আত্মীয় স্বজনদের মনেও। দুই বোন নুসরাত-মুনিয়ার বিলাসী জীবনযাপনের রহস্য উন্মোচণ করতে অনুসন্ধানে নামলে একের পর এক বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য উপাত্ত।
অভিযোগ রয়েছে কুমিল্লা শাখার পদ্মা ব্যাংকে চাকুরির আড়ালে নুসরাত নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা দেহব্যবসা।ব্যাংকের ঋণ বিভাগের মার্কেটিং অফিসার হিসেবে ব্যাংকের অফিসিয়াল কাজের চেয়ে নিজের ফ্ল্যাটের দেহব্যবসার খদ্দের ধরতেই যেন বেশি মনোযোগ ছিল নুসরাতের। ব্যাংকের ঋণ বিভাগে কাজ করার সুযোগে কুমিল্লার ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে কৌশলে গড়ে তুলেন গভীর সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের মাধ্যমেই দেহ ব্যবসার খদ্দের জোগাড় করতেই ব্যতিব্যস্ত থাকেন নুসরাত। ঢাকা এবং কুমিল্লার একাধিক ফ্ল্যাটে ওইসব খদ্দেররা আনন্দফুর্তি করতেন। আর নুসরাতের ওই রংমহলের প্রধান আকর্ষণ ছিলো তারই সুন্দরী ছোট বোন মুনিয়া। পদ্মাব্যাংকের একাধিক সহকর্মী এবং বেশ কয়েকজন আত্মীয়স্বজনও নুসরাতের এমন অনৈতিক বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকারও করেছেন। তারা বলছেন, এই নুসরাতের কারণে পদ্মাব্যাংকের সুনাম নষ্ট হচ্ছে, কিশোরী মেয়েরা প্রলোভনে পড়ে খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আর অনেক নারীর সুখের সংসার ভেঙ্গে চুরমার হচ্ছে। দেশের গোয়েন্দা পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করলেই ব্যাংকে চাকরির আড়ালে নুসরাতের অন্ধকার জগতের তথ্য প্রমাণ বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করেন তারা।
খুলনা বিভাগের বাসিন্দা কুমিল্লায় নুসরাতের সঙ্গে কাজ করছেন ব্যাংকের এমন একজন সহকর্মী বলেন,‘ বিভিন্ন কমিশনসহ সর্বসাকুলে ২৫ হাজার টাকা বেতন পাই। সেই টাকায় বাড়ি ভাড়া দিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমার চলা খুবই কষ্ট হয়। কিন্তু নুসরাত একই বেতনে চাকুরি করলেও থাকেন বিলাসী ফ্ল্যাটে আর চড়েন দামী গাড়ি। এই রহস্য নিয়ে অফিসে কানাঘুষা চললেও কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পায়। কারণ এই নুসরাতের পেছনেই আছে হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। অপর আরেকজন সহকর্মী বলেন।