খোলাবাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯মার্চ, ২০২২ঃ পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ত্রাসী হামলা, মামলা, নির্যাতন, হয়রানীর শিকার একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা ভিটে মাটি ছাড়া হয়েও প্রতিপক্ষের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। অব্যাহতভাবে প্রতিপক্ষের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে আতংকগ্রস্থ এই পরিবারের সদস্যরা বাস্তুহারা হয়ে এখন বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রতিপক্ষের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থরা আবার কবে বসত ভিটায় ফিরতে পারবেন এই আসায় দিন গুনে চলেছেন। মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলা শহরের ফায়ার সর্ভিস সংলগ্ন আত্মীয় সবুজ এর ভাড়াটে বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন জেলার কাউখালী সদর উপজেলার দাসেরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী হোসনেয়ারা এবং উপস্থিত নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ০৮ জুলাই/২০২১ তারিখ সন্ধ্যার দিকে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বর প্রার্থী মিরাজ মীর বিজয়ী মেম্বর জাকির হোসেনের সামর্থক আমার প্রতিবেশী আজাদ হোসেন এর উপর হামলা করে। এর ২ দিন পর এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকালে আমার পুত্র মো. হাফিজুর রহমান হিমেল বাজার থেকে ফেরার পথে সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে এসে হিমেলকে আজাদের মামলার স্বাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এদিকে প্রতিপক্ষ মিরাজ মীর তার বিরুদ্ধে আজাদের মামলায় হিমেল স্বাক্ষী হওয়ায় ক্ষেপে যায়। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে হিমেল তার ছেলে রাফিয়াদ এর জন্য বাড়ীর সামনে কাজলের দোকানে ঔষধ আনতে গেলে প্রতিপক্ষ মিরাজারে নেতৃত্বে রাতুল, রিয়াজ, শাহীন শেখ, রাকিব শেখ, রিপন, রনি খান, জাহিদুল, খালেদা বেগম, পারুল বেগম, তহমিনা বেগমসহ তাদের দলবল তার উপর হামলা চালায়। এর পর হামলা কারীরা হিমেলের বসতবাড়ির মেইন গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বসত ঘর, আসবাবপত্র, মটর সাইকেল ভাংচূর করে তান্ডব লীলা চালায় এবং লুটপাট করে। হামলাকারীরা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী হোসনেয়ারা, পুত্র বধু সুবর্ণাকে নির্যাতন এবং হিমেলকে পেয়ে ফের মারপিট করে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং নিরাপত্তা জনিত কারনে হিমেল, তার মা হোসনেয়ারা, স্ত্রী সুবর্ণা ও তার শিশু পুত্রকে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করেন। সাংবাদিকদেরকে হিমেল বলেন, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম ছাড়া। বাড়ি ঘরে ফিরতে পারছেন না তারা। বিভিন্ন সময়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আসছেন। এ সময় নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে হোসনেয়ারার পুত্র হিমেল, পুত্র বধূ সুবর্ণা ও তাদের শিশু পুত্র মো. রাফিয়াদ উপস্থিত ছিলেন।