Sat. Apr 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

অনলাইন ডেস্ক | ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ডাক্তার এস এ মালেক স্মরণে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শীতার্ত ও অসহায় মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে দেশব্যাপী এ কার্যক্রম ঢাকার কলাবাগান থানাধীন লাল ফকির মাজার সংলগ্ন বস্তিবাসীদের মধ্যে কম্বল বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য কম্বলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তা সম্বলিত লিফলেটও বিতরণ করা হয়। দেশব্যাপী এ বিতরণ কার্যক্রম আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৬ জানুয়ারি মাসব্যাপী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চিকিৎসক ডাক্তার শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। ফিকামলি তত্ত্বের জনক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. আবদুল ওয়াদুদ এর সৌজন্যে সারাদেশে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন নিয়ে গবেষণা করে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, এবং বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস  প্রচার করে। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নকে সঠিকভাবে  তুলে ধরতে না পারলে তা হবে আমাদের জন্য বড় ব্যর্থতা। ড. আবদুল ওয়াদুদ দেশব্যাপী এ কাজটি নীরবে-নিভৃতে করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি’র মহাসচিব প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন ইলিয়াস বলেন, ড. আবদুল ওয়াদুদ একজন দেশ প্রেমিক। খুব কাছে থেকে তাকে দেখেছি, যে কোন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন; মুক্তহস্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। শীতার্ত গরীব মানুষের জন্য দেশব্যাপী কম্বল বিতরণ তার সাংগঠনিক দক্ষতারও পরিচায়ক। শুধু কম্বল বিতরণই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ব্যাপক জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

ড. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, তিনি সরকারের উন্নয়নের বার্তা সম্বলিত লিফলেট গ্রামে-গঞ্জে মাঠে-ঘাটে, হাটে-বাজারে বিলি করে বেড়াচ্ছেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার নেতৃত্বে একদল সাইবার যোদ্ধা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লালটু, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়  নেতৃবৃন্দ।

টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ ভাণ্ডারিয়াতে ড. আবদুল ওয়াদুদ এর গ্রামের বাড়ি উত্তর শিয়ালকাঠিতে যান। হেলিপ্যাডে  স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাণ্ডারিয়া থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খান এনায়েত করিম, প্রিন্সিপাল আবুল বাশার বাদশা, ভান্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি, পৌরসভার মেয়র ফইজুর রশীদ খসরু, জেপি নেতা জামাল উদ্দিন মিঞা স্বপন, নজরুল বিশ্বাস, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রুস্তম আলী ও স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ। ড. আবদুল ওয়াদুদ এর পিতা ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মরহুম আব্দুল হালিম উকিল-এর কবর জিয়ারত করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।