১৫আগস্ট খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার প্রস্তুতি নিলে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ৪ টার দিকে নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে কাজীর দেউড়ি মোড়, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড় ও লালখান বাজারসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে যে কোনো ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, গায়েবানা জানাজার ঘোষণা দিয়ে জামায়াত আবার কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা দিয়েছিল। তারপরও তারা জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে সাঈদীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কধুরখীল ইউনিয়নের কধুরখীল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গায়েবানা জানাজা পড়তে গিয়ে পুলিশ দেখে সটকে পড়ে নেতাকর্মীরা।
এছাড়া সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাদে আসর এসব জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন বলেন, ‘সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হলেও বোয়ালখালীতে গায়েবানা জানাজ নামাজ পড়তে দল বেঁধে কধুরখীল স্কুল এণ্ড কলেজের মাঠের দিকে যাচ্ছিল নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি দেখে তারা পালিয়ে যায়।’ একইসঙ্গে থানা পুলিশ সতর্ক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে সিএমপির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। অতিরিক্ত কোন ফোর্স মোতায়েন না করলেও নিয়মিত পুলিশি কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় শোক দিবস ঘিরে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।