১৮আগস্ট খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ সারাদেশকে এই আওয়ামী লীগ কারাগারে পরিণত করেছে। কেন আটক করে? বলেন তো, ভয়ে। ভয়ে আওয়ামী লীগের মুখ শুকিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা এখন নতুন নতুন কাপড় পরা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা যে টাকা পাচার করেছে তা নিয়ে চিন্তায় আছে। অবস্থা এখন আরও খারাপ। বাংলাদেশকে নিয়ে শুনানি দাবি করছে সে আমেরিকান সংস্থাগুলো।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো দিকে পথ খোলা নেই, উত্তরে উচ্চাঙ্গ পর্বতমালা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, কোনো দিকে ওদের যাওয়ার আর পথ নেই। আর কোনো সময় নাই। মানে মানে এখনি পদত্যাগ করো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও, সংসদ বিলুপ্ত করো, নতুন নির্বাচন কমিশন করে সুষ্ঠু নির্বাচন এর ব্যবস্থা করো।
আজ শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণমিছিলে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
আওয়ামী লীগ সরকার টাকা চুরি আবার ফন্দি বের করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এরা নাকি পেনশন ভাতা দেবে। এরা টাকা চুরি করার আরেকটা নতুন ফন্দি করছে। সেই টাকা চুরি করে ভোট করবে এরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। ২৯ জুলাই আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হায়েনার মত তারা আক্রমণ করেছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র, ভোটের, কথা বলার, বাঁচার অধিকার দাও। তেল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমাও। এটাই আমাদের দাবি।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ লুটপাট করে সব শেষ করে দিয়ে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। এদেরকে না সরাতে পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। জনগণ উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে সুনামির মতো নিশ্চিহ্ন করে দেবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সংবিধানের দোহায় দেয়, কোন সংবিধান? বৈধ সংবিধান না এটা। আপনারা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জোড় করে ক্ষমতায় বসে আছেন।
তিনি বলেন, সরকারের অবস্থা এখন আরও খারাপ। বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো এখন বলছে বাংলাদেশের ওপর একটা শুনানি হোক। তারা সুষ্ঠ নির্বাচনে বাধা প্রদান করছে। নয়জন এখন আর আমেরিকা যেতে পারে না। তাদের সম্পদ কী হবে তারা জানে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একটি কথাই বলা যায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার অধীনে আমরা কোন নির্বাচনে যাব না। আমাদের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারত যদি আবার ১৪ সালের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায় চ্যালেঞ্জ এদেশের ১৮ কোটি জনগণ এবার ছাড়বে না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সকালে মার্কিনদের গালি দেয় বিকেলে আবার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে তারাই আমাদের বন্ধু।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে গণমিছিলপূর্বক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম- মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।