১৮আগস্ট খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে সারাদেশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালিয়েছে মন্তব্য করে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, এদেশের মানুষ ভালো কাজ শুরুর আগে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে, বিপদে পড়লে বা কেউ মারা গেলে ‘ইন্না লিল্লাহ’ বলে। আর সরকার দলীয় মন্ত্রী-এমপি এবং ক্যাডাররা “জয় বাংলা” বলে অপকর্ম করে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর তাঁদের দুঃশাসনের স্মারক হয়ে ঘরে ঘরে আজ আতঙ্কের অপর নাম ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।
আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মালিবাগ মোড় থেকে একদফা দাবি আদায়ের যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত ‘গণমিছিল’ শুরুর প্রাক্কালে এসব কথা বলেন তিনি।
ববি হাজ্জাজ বলেন, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকেই নির্লজ্জ দলীয়করণ করতে বাকি রাখে নাই এই সরকার৷ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই হোক, গ্রাম পর্যায়ের কোন কলেজ, থানা বা নির্বাচন কমিশন এমনকি বিচারবিভাগকেও আওয়ামী কার্যালয়ে পরিণত করেছে এরা। আজকে এক পুলিশ কর্মকর্তার নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়, একজন বিচারপতিকে রাজনৈতিক নেতাদের মত বক্তব্য দিতে দেখা যায়৷ সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার মন্তব্য থেকে দেশের মানুষের কাছে আজ পরিষ্কার, বিশেষ একটি ভবন থেকেই পরিচালিত হচ্ছে আমাদের বিচারবিভাগ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিদায়ের সুর স্পষ্ট উল্লেখ করে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, শোকদিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশা ফুঁটে উঠেছে। বিদায়ের সুর আজ তাঁর চোখেমুখে। আমরা শুধু একটি কথাই দৃঢ়কণ্ঠে উচ্চারণ করতে চাই, ষড়যন্ত্র করে নয় বরং প্রকাশ্যে ঢাকা বসন্তের মাধ্যমে আমরা আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাব ইনশাআল্লাহ।
ববি হাজ্জাজ বলেন, আগামী সপ্তাহে ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশ যোগ দিতে না পারার মাধ্যমে সরকারের আরেকটি কূটনৈতিক পরাজয় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থাগুলো আরও স্যাংশানের আহবান জানিয়েছে৷ এরমধ্যেই শুরু হচ্ছে বিপুল অংকের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কিস্তি৷ অথচ দেশের রিজার্ভ তলানিতে। জলাবদ্ধতায় চট্রগ্রাম শহর যেমন ডুবছে, একইভাবে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ইমেজ সেভাবে ডুবেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিদায় নিশ্চিত করতে আমরা সব বিরোধীদল রাজপথে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সংগ্রাম করে যাব। এই সরকারের আমলে যত সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং দেশবরেণ্য আলেম হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে ক্ষমতায় এসে তাঁর বিচার করা হবে৷ যারাই অর্থপাচার করেছে তাঁদেরকে দেশদ্রোহী হিসাবে ঘোষণা দিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এবার আওয়ামী লীগের বিদায়ের মধ্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ সম্ভাবনার নতুন সূর্য দেখবে।
গণমিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিএম এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ুন পারভেজ খান, যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরাসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, যুব আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব।