সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দুমকীতে সবজি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দিনমজুর বাবুল হাওলাদার। অভাবের তাড়নায় সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন বাবুল হাওলাদার। ঢাকায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করে তেমন সুবিধা করতে না পেরে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে নিজ জমিতে গড়ে তুলেছেন সবজি বাগান।
দেখা গেছে, তিন মাসের ব্যবধানে শাক-সবজিতে ভরে গেছে ক্ষেত। মাচংয়ে দুলছে ছোট বড় নানা সাইজের লাউ, জালি কুমড়া আর ধুন্দল। রয়েছে পুঁই শাক। বাবুল হাওলাদার বলেন, গত জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ দিকে ৩০ শতাংশ জমিতে মাদা তৈরি করে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ, জালি কুমড়া, ধুন্দল ও পুঁই শাকের বীজ বপন করি। এতে আমার সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শ্রাবণ মাস থেকে লাউ, কুমড়া ও পুঁই শাক বিক্রি শুরু করি। বর্তমানে তিন শতাধিক লাউ, সাড়ে তিন শতাধিক জালি কুমড়া, একশ কেজি ধূন্দল ও পর্যাপ্ত পুঁই শাক বিক্রি করেছি। ইতিমধ্যে আমি ষাট হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি। এ ছাড়াও ক্ষেতে যে শাক সবজি রয়েছে তাতে লক্ষাধিক টাকার উপরে বিক্রির আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিটি লাউ ৫০-৭০টাকা, জালি কুমড়া ৪০-৬০টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৩০টাকা এবং প্রতি আটি পুঁই শাক ২০টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো ভাবেই সংসার পরিচালনা করছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীম খান মাঝে এসে বাগান পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়েছেন। তাই বাবুলের সবজি বাগানে রোগবালাইও কম হয়েছে এবং ফলন ভারো হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীম খান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে বাবুল হাওলাদারসহ আরও অনেক কৃষকদের সবজি খামারে বিনা মূল্যে নানা জাতের হাইব্রিড বীজ, সার ও পরিচর্যা বাবদ অর্থ প্রদান করেছি।