Fri. Oct 24th, 2025
Advertisements

পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বিএনপির সাত নেতাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়া হয়।

পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলালের বহিষ্কারাদেশ ১৩ মাস পর প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। এতে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১২ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রুহুল আমিন দুলালকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তিনি আবেদন করেন। দীর্ঘ ১৩ মাস পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এদিকে রুহুল আমিন দুলালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের খবরে মঠবাড়িয়ায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন দুলালের বাস ভবনের সামনে ভীড় করেন। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে দুলালকে বরণ করে নেন। তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিকেলে উপজেলা মডেল মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

রুহুল আমিন দুলাল বলেন, আমি ৪৪ বছর যাবত এই দলের সঙ্গে জড়িত। আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে। ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থী এবং দলবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করি নাই।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি ১৪ মাস দলের বাইরে ছিলাম। অর্থাৎ দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলাম। আমার বহিষ্কারে আমার চেয়ে আপনারা বেশি কষ্ট পেয়েছেন। আমার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য আপনারা দোয়া করেছেন অনেক মা বোনেরা রোজা রেখেছেন। আপনারা আমার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন, আপনাদের মনের ভাষা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহোদয় উপলব্ধি করতে পেরে আজ আমার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান কোনো প্রকার উশৃঙ্খলতা করা যাবে না। সবাই শান্ত থাকবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেব।

প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পাওয়া বিএনপির ওই ৭ নেতা হলেন— জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলাধীন ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল উদ্দিন সরকার পাপ্পু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, পিরোজপুর জেলাধীন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলাল, নীলফামারী জেলাধীন জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট, রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলি সরকার।