Wed. Oct 15th, 2025
Advertisements

2রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : কর দিতে প্রচলিত আইন আরও সহজ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সচিবালয়ে রবিবার কর পরামর্শ কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের ১৫ তলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সপ্তাহব্যাপী (৬ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বিষয়ক ও তথ্য প্রদানে এ পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবি আর) এ সেবা কেন্দ্রের আয়োজন করেছে।

আয়কর আইনের সেলফ এসেসমেন্ট ধারাটি সংশোধন করে সহজ করা হলে কেউ কর দিতে অনীহা প্রকাশ করবে না জানিয়ে মুহিত বলেন, ‘অনেকেই কর দিতে গিয়ে মনে করে আমি আটকে গেলাম। করের আওতায় এসে আটকে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই আয়কর দেয় না। তাই আইন করার সময় মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন। কারণ আইন মানলেই বোঝা যায় কতটা কঠিন।’

‘জনগণ যেন বলতে না পারে এনবি আর আমাকে জ্বালাতন করে, তাই আমি কর দেই’ এনবি আর চেয়ারম্যানের উদ্দেশে এ কথা বলেন মুহিত।

১৬ কোটি মানুষের মধ্যে কর দেয় মাত্র ১৭ লাখ এটা লজ্জার বিষয়-মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নাগরিক অধিকার আদায়েও কর দেওয়া প্রয়োজন।’

মুহিত এনবি আর চেয়ারম্যানকে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৩০ লাখে উন্নীত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের ১০ শতাংশকে যদি করের আওতায় আনা যায় তাহলে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষের কাছ থেকে আয়কর আদায় করা সম্ভব। এটি ধীরে ধীরে হবে। এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন হলে অনেক সরকারি কর্মকর্তা করের আওতায় আসবে। তখন এ সেবা কেন্দ্রটি তাদের কাজে আসবে।’

সচিবালয়ের বাইরের সরকারি অফিসের কর্মকর্তারাও অনলাইনের মাধ্যমে এ সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন বলে সভাপতির বক্তব্যে জানান এনবি আর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের ২০১৫-১৬ কর বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও তথ্য দেওয়া হবে এ সেবা কেন্দ্র থেকে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কর্মকর্তারা আয়কর রিটার্ন দাখিল, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ ও তথ্য পাবেন।