সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যাকাণ্ডের মামলা মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন হাকিম আদালত। আজ সোমবার সকালে সিলেটের মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম এ আদেশ দেন। মামলাটি জজ আদালতে স্থানান্তরের পর মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
আদালতে কর্মরত সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার জিআরও ফয়েজ উদ্দিন জানান, গত ৩১ আগস্ট আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পলাতক আসামিদের ধরতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করার বিষয়টিও পর্যালোচনা করেন আদালত।
১৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। ১৭ আগস্ট আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মালামাল জব্দের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে জালালাবাদ থানার পুলিশ ২৫ আগস্ট তিন আসামির মালপত্র জব্দ করে আদালতকে অবহিত করে। ৩১ আগস্ট আদালত আসামিদের ধরতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টিও আজ আদালতকে জানানো হয়।
গত ৮ জুলাই সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় শিশু সামিউল রাজনকে।
লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়ে একজন। রাজনকে নির্যাতন করার সময় প্রায় ২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ড ভিডিওচিত্র ধারণ করেছিল নির্যাতনকারীরা। এ ভিডিওচিত্র নিয়ে ১২ জুলাই ‘নির্মম পৈশাচিক!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে এ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে একে একে জনতা ধরিয়ে দেয় সামিউল হত্যা মামলার আসামিদের। পালিয়ে সৌদি আরব গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলাম।