Mon. Oct 20th, 2025
Advertisements

1 বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সেকদি গ্রামে ৭ বছরের শিশু রুবিনা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন, পূর্ব সেকদি গ্রামের মৃত মিজান মুন্সির ছেলে মো. মাসুম হোসেন ওরফে মিন্টু (২৫) ও টেলু মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২২)।

চাঁদপুর থানার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের নেতৃত্বে ডিবি ও ফরিদগঞ্জ থানা-পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের হাজির হাট এলাকা থেকে মিন্টুকে এবং বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে জুয়েলকে আটক করে।

পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে দুজনই।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে একা পেয়ে জুয়েল ও মিন্টু একটি ঘরে নিয়ে শিশু রুবিনাকে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটির অনেক রক্তক্ষরণ হলে তাঁরা তাকে গলা টিপে হত্যা করে বস্তায় ঢুকিয়ে পার্শ্ববর্তী বিলের একটি ঝোপে লাশটি ফেলে দেয়।

এদিকে, রুবিনা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে ওই দিনই তাঁরা ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে তেমন গুরুত্বই দেয়নি। দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর গত ২৫ আগস্ট সকালে রুবিনার মা ফাতেমা বেগমই ওই এলাকার একটি মাছের খামারের কাছে যাওয়ার সময বিলের ঝোপে শিশুটির লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। এদিন রুবিনার বাবা টেলু মিজি এলাকার যুবক মিন্টুকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রহস্য উদ্ঘাটন করেন এবং ডিবি পুলিশের সহায়তায় আত্মগোপনে থাকা মিন্টুকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জুয়েলকেও আটক করে ওই মামলায় আটক দেখানো হয়
– ঝবব সড়ৎব ধঃ: যঃঃঢ়://িি.িহড়-িনফ.পড়স/২০১৫/০৯/১০/৪৩৫৬৪৭.যঃস#ংঃযধংয.ঙড়ঢ়৪উঠওী.ফঢ়ঁভ