খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বিচারবর্হিভূত সব হত্যাকাণ্ডই অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সুলতানা কামাল।
তিনি বলেন, ‘‘শুধু অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় নয়, যে সময়ই বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটুক না কেন, সেটা অবৈধ। এখনো যেসব বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে সেগুলোও অবৈধ।”
ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল।
২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী, তৎকালীন বিডিআর, পুলিশ, আনসার ও বেসরকারি প্রশাসনের সহায়তায় যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। তৎকালীন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, সন্ত্রাস দমন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য এই অভিযানের নির্দেশ দেয়। পরে ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি যৌথ অভিযানের দায়মুক্তি দিয়ে সংসদে আইন পাশ করে সরকার। এরপর গত রোববার হাইকোর্ট ওই দায়মুক্তিকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে।
দায়মুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করা প্রসঙ্গে সুলতানা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেক্ষেত্রে হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল। পরে সেই দায়মুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালত। এরপর অবশ্য বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়। আর এক্ষেত্রেও ঐ একই ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই স্বাভাবিক যে, এ ধরনের কর্মকা-কে আর দায়মুক্তি দেয়া যায় না। সেটা তো আইন বর্হিভূত, পাশাপাশি অসাংবিধানিকও বটে।
উচ্চ আদালত সেই কাজটা করেছে। যার অর্থ, এখন ওই সময়কার ক্ষতিগ্রস্ত কেউ চাইলে বিচার চাইতে বা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা করতে পারেন।
এখনো তো দেশে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় নয়, যে কোনো বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডই অবৈধ। এখনো যেসব বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে সেগুলোও অবৈধ। আমরা হাজার বার বলছি যে, বিচারবির্হভূত হত্যাকাণ্ড ঘটা উচিত নয়। এটা ঘটতে দেয়াও উচিত নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে চলতে পারে না। এর একটা শেষ হওয়া উচিত। আমরা এর অব্যহত প্রতিবাদ করছি। আমার মতে, সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগও নেই।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে