Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
11পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বেড়েছে মশলার দাম। কোরবানির ঈদে মশলার চাহিদা অনেক বেশি। এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের কারণে মশলার বাজারে রীতিমতো আগুন লেগে গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক বাজারে মশলার দাম তুলনামূলক কম থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিনই ধাপে ধাপে বাড়ছে মসলার দাম। খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে এই অসাধু কাজে আমদানিকারকরাও জড়িত বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের জন্য অপেক্ষায় থাকে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঈদের পূর্ব মূহুর্তেই অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেন এ চক্রটি। আর বিপাকে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা। মশলা বাজারে গিয়ে দাম শুনেই অবাক হতে হয় অনেক ক্রেতাকেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক মাসে দাম বেড়েছে সব মশলা জাতীয় পণ্যের। অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ বা তার চেয়েও বেশি। বাজারে কালোজিরা প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৮০, গোলমরিচ ৯৯০ থেকে ১২০০, তেজপাতা ১৭০ থেকে ২১০, দারুচিনি ২১৫ থেকে ২৮৫, লবঙ্গ ও এলাচি ১১৯০ থেকে ১৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি জইফল বিক্রি ৮২০ থেকে ১০২০ টাকায়। জয়ত্রী ১৫৫০ থেকে ১৮৫০, কিশমিশ ৪৪০ থেকে ৬৬০, আলু বাখারা ৩৯০ থেকে ৬১০, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ থেকে ১৫৫০ এবং কালো এলাচ ২৭৮০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া হলুদের গুঁড়া ১৭০ থেকে ২৫০, মরিচের গুঁড়া ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০-৯০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭৮ টাকায় বিক্রি হলেও প্রকারভেদে দেশি রসুন ৯৫-১০০, মোটা রসুন ১১০-১৩০ ও একদানা রসুন ১৫০ টাকা এবং আদা ১১০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মশলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সবগুলোরই কম বেশি দাম বেড়েছে। অতিরিক্ত দাম নিয়ে সরকারের কোনো তৎপরতা না থাকায় দিনের পর দিন দাম বেড়েই চলেছে। দাম বাড়ার জন্য খুচরা এবং পাইকারী ব্যবসায়ীরা দোষ চাপাচ্ছেন আমদানিকারকদের উপর। দাম যেভাবেই বাড়ুক, এ নিয়ে অসস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। নুর হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দাম অনেক বেশি। এভাবে দাম বাড়লে আমরা কিভাবে চলব? সরকার যদি বিষয়টা দেখত তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের জন্য ভাল হত। ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের জন্য ইচ্ছে করেই দাম বাড়িয়ে দেয়।’ অন্যদিকে কাশেম মিয়া নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে মশলা কিনতে আসলাম কিন্তু দাম অনেক বেশি। দাম বেশি হলেও কিনতে হবে। তাই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ যেন এসব বিষয় দেখার নেই। তারা যেমন ইচ্ছে তেমনই দাম বাড়াচ্ছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাইকারি বিক্রেতা দুলাল মিয়া বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন বলেন, ‘দাম আমরা বাড়াই না, দাম বাড়ায় আমদানীকারকরা। আমদানিকারকরা দাম বাড়ালে আমাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে, আমরাতো আর লস দিবনা।’ অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না, দাম বাড়ায় আমদানিকারকরা। আমরা শুধু সামান্য লাভ করেই বিক্রি করি। আমদানিকারকরা যদি দাম না বাড়ায় তাহলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব।