খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
৪৮ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ করে চলেছে দুই সিটি করপোরেশন। শনিবারের মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ হয়ে যাবে বলে মত পোষন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন(ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন(ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদ্বয়।
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা জানান, শনিবারের মধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। উত্তর সিটি এলাকায় যে পাঁচটি পশুর হাট ছিল সেগুলোর বর্জ্যও পরিষ্কার করা হয়ে গেছে। এরপরও কোনো এলাকায় কোরবানির বর্জ্য থাকার খবর সিটি করপোরেশনকে জানালে তাৎক্ষণিক তা অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিপন কুমার সাহা বলেন, বর্জ্য অপসারণে জনগণের সহযোগিতাই মূল ভূমিকা পালন করে। কোরবানির কারণে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় যে বর্জ্য তৈরি হয়েছিল এরই মধ্যে এর প্রায় ৯৫ শতাংশ অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। রাজধানীর এ অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ হয়ে গেছে। তবে নগরীর বিভিন্ন এলাকার গলিতে পশু কোরবানি দেওয়ার কারণে অনেক জায়গাতেই এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা দেখা গেছে।
ডিএনসিসির মহাখালী, বনানী, গুলশান, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে।
তবে রক্ত শুকিয়ে যাওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অলিগলির বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিএনসিসির নিয়মিত ৩ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি অতিরিক্ত কর্মী। মোট ৭ হাজার কর্মী ডিএনসিসি’র বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছেন।
এদিকে ডিএনসিসি’র মতো ডিএসসিসিও পিছিয়ে নেই। এরই মধ্যে ডিএনসিসি ৫০ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করে ফেলেছে।
ডিএসসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দিন জানিয়েছেন, এরমধ্যে ১০টি পশুরহাট ও হাটের আশপাশের এলাকার বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে উপযোগী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নগরী থেকে দ্রুত বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঈদের দিন থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ১০টি পশুর হাটের আশেপাশের বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলেন ক্যাপ্টেন রাকিব।
তিনি বলেন, এছাড়া ডিএসসিসির বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ৫০ শতাংশ বর্জ্য সরানো হয়েছে। ১০ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন। আশা করি, রোববার দুপুরের মধ্যে কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে।
ডিএসসিসি’র বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট ছোট ভ্যান নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতে গিয়ে বাসা-বাড়ির সামনে থাকা ব্যাগ ও বস্তা ভর্তি কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত রয়েছেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
বর্জ্য ভ্যানে করে স্থানীয় ডাস্টবিনের কন্টেইনারে রাখা হচ্ছে। এরপর বর্জ্য ভর্তি কন্টেইনারগুলো সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঈদের দিন থেকে তিনদিন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য নিয়মিত পরিচ্ছন্নকর্মীদের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৪ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োজিত করেছে ডিএসসিসি।