খোলা বাজার২৪, সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।খন্দকার মাহবুব বলেন, দেশী ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ায় এ ব্যপারে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। যদি আদালত অনুমতি দিলে তার পক্ষে ডিফেন্সের সাতজন সাক্ষী জোড়ালো সাক্ষি দিবেন যে ইতিপূর্বে তারা যে হলফনামা আদালতে প্রদান করেছিলেন তা তারা স্বেচ্ছায় প্রদান করেছেন এবং এগুলোতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।আপিল বিভাগের রায়ে ওই হলফনামাগুলোকে যোগসাজশসের সৃষ্টি বলে সেগুলো বিবেচনা করা হয়নি।খন্দকার মাহবুব বলেন, সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে উক্ত সাত ব্যক্তিকে সমন দিয়ে ডেকে আপিল বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পড়াশুনা করার উদ্দেশ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ঢাকা ত্যাগ করেন। ওই সময় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহপাঠী ছিলেন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কূটনীতিক মোহাম্মদ ওসমান সিদ্দিক, পাকিস্তানে বসবাসরত বিশিষ্ট স্থপতি মুনিব আরজুমান্দ খান, পাকিস্তানে বসবাসরত বিশিষ্ট সমাজকর্মী আম্বার হারুণ সায়গল, পাকিস্তানে বসবাসরত বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী ইসহাক খান খাকোয়ান, পাকিস্তানে বসবাসরত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রিয়াজ আহম্মদ নুন যিনি ভিকারুন্নেসা নূন এর নাতি ও পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মিয়া সুমরো এবং বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শামীম হাসনাইন।ট্রাইব্যুনালে এর আগে এই সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপনের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানালে ট্রাইব্যুনাল তা বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তি কমিয়ে দেন। পরে ওই সাত ব্যক্তি তাদের হলফনামা এফিডেভিট জমা দেন।