Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ : বিপিএলে আগে ব্যাট করে সর্বনিম্ন রানের স্কোর আসলো বরিশাল বুলসের কাছ থেকে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আজকের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮.৩ ওভারে তাদের মাত্র ৮৯ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগের দুই ম্যাচে অল্প রান করেও বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে জিতেছে বরিশাল। এবার হয়নি। সাবধানে খেললো কুমিল্লা। ১৮ ওভার খেলে ৮ উইকেটের সহজ জয়ই তুলে নিলো তারা। এবারের আসরে তিন ম্যাচে এটি কুমিল্লার দ্বিতীয় জয়। সমান ম্যাচ খেলে এই প্রথম হারলো বরিশাল।
টি-টোয়েন্টি চার-ছক্কার ক্রিকেট। কিন্তু কুমিল্লার খেলোয়াড়দের তেমন আগ্রহী দেখা যায়নি বড় বড় শট খেলতে। একটিও ছক্কা নেই তাদের ইনিংসে। চার ব্যাটসম্যান মিলে ৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন। বরিশালের ব্যাটিংয়ের তো ছিল দীনহীন চেহারা। তাদের ইনিংসে চারের মার মাত্র তিনটি। ছক্কা একটি, তাও দশ নম্বর ব্যাটসম্যানের। ৯০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইমরুল কায়েস (১৩) ও মাহমুদুল হাসানের (৩১) উইকেট দুটি হারিয়েছে কুমিল্লা। প্রথম উইকেটটি আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নেয়া আল আমিন হোসেনের, অন্যটি কেভন কুপারের। মাহমুদ ও মারলন স্যামুয়েলস দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়েছেন। শুভাগত হোমকে নিয়ে বাকি রান তুলেছেন স্যামুয়েলস।
স্যামুয়েলস ২৩ ও শুভাগত ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলাররা চমৎকার পারফর্ম করলেন। ৩ ওভারে ১ মেডেনে ৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নুয়ান কুলাসেকারা ম্যান অব দ্য ম্যাচ। আশার জাইদিও তিনটি উইকেট শিকার করেছেন। আবু হায়াদার পেলেন দুটি। মাশরাফি বিন মুর্তজা ৪ ওভারে ২২ রান দিলেও উইকেট পাননি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই চাপে পড়ে বরিশাল। আঘাত হানেন কুলাসেকারা।
শাহরিয়ার নাফীস (৩) ও ব্রেন্ডন টেইলরকে (০) উইকেটের পেছনে ধীমান ঘোষের তালুবন্দি করিয়েছেন তিনি। এরপর সপ্তম ও নবম ওভারে আঘাত হানেন বাঁ হাতি পেসার হায়দার। বরিশাল অধিনায়ক মাহমুদ উল্লার (৯) পর রনি তালুকদার (১৭) হয়েছেন তার শিকার। কিছুক্ষণের বিরতি। তারপরই জোড়া আঘাত হানেন বাঁ হাতি স্পিনার আশার জাইদি। সাব্বির রহমানের (১০) পর সেকুজে প্রসন্নকে (০) আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন তিনি। জাইদিকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি কুপার। এক ওভার পর ফিরে জাইদি তুলে নেন নাদীফ চৌধুরীর (৭) উইকেটও। ৫৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আর কতদূর যেতে পারে বরিশাল! কুপার ইনিংস সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন। কুলাসেকারা আউট করেছেন তাকে। আর অল্প রানের টার্গেট চাপ না নিয়েই অর্জন করেছে কুমিল্লা।