খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫ : সাজানো-গোছানো একটা সংসার ছিল তাঁর। সেই সংসারটা ভেঙে গেছে, তাঁর নিজের ভুলেই। গলফার টাইগার উডস আর তাঁর স্ত্রী এলিন নর্ডিগ্রেন—দুজনার দুটি পথ আজ দুটি দিকে গেছে বেঁকে! তাদের সন্তানদের অবশ্য জীবনের এই কঠিন বাস্তবতা বোঝার বয়স হয়নি। ৮ বছরের স্যাম এবং ৬ বছরের চার্লি তাই প্রায়ই জানতে চায় কেন তাদের বাবা-মা এক বাড়িতে থাকে না। এই ব্যাপারটা পোড়ায় টাইগার উডসকেও। অন্য কারও কাছ থেকে জানার আগে তাই নিজেই সন্তানদের সবকিছু খুলে বলতে চান তিনি।
বিবাহ-বহির্ভূত একাধিক সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসায় ২০০৯ সালে টাইগার-এলিন সম্পর্কে চিড় ধরে। পরের বছর আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর চল্লিশে পা দিতে চলা উডসের জীবনে অবশ্য এর পরেও বেশ কয়েকজন নারী এসেছে বলে গুঞ্জন আছে। তবে সম্প্রতি টাইম সাময়িকীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেগুলোকে স্রেফ গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন গলফের এই কিংবদন্তি। বরং তিনি যে এখন পরিবর্তিত এক মানুষ সেটাই বলেছেন বারবার।
এমনকি নিজের ভুলগুলোর কথা সন্তানদের কাছে অকপটে স্বীকার করে নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও শোনালেন, ‘স্যাম আর চার্লি প্রায়ই জানতে চায় কেন তাদের বাবা-মা এক বাড়িতে থাকে না। ইন্টারনেট ঘাঁটতে শেখার আগেই ওদের বলতে চাই, ওদের বাবা কিছু ভুল করেছিল। আমি এটা করতে চাই যাতে কোনো বন্ধু বা অন্য কোনো সূত্র থেকে ওদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি না হয়। সত্যিটা যেন সরাসরি আমার মুখ থেকেই জানতে পারে।’
সাংসারিক জীবনের মতো ক্যারিয়ারেও মন্দাভাব চলছে উডসের। দীর্ঘদিনের পিঠের চোটে কার্যত তাঁর ক্যারিয়ার শেষই হতে বসেছে। এরই মধ্যে দুই বার অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন। পুরোনো ফর্মে ফেরার তীব্র ইচ্ছেটা এখনো চলে যায়নি ১৪টি মেজর ট্রফি জেতা এই গলফারের। তবে সেটার জন্য নিজেকে আর শল্যবিদের ছুরির নিচে নিতে রাজি নন উডস, আমি আর অস্ত্রোপচার চাই না। আর যদি কোর্সে নাও নামতে পারি, সন্তানদের সঙ্গে আনন্দ করেই বাকি জীবন কাটাতে চাই।’ সূত্র: বিবিসি।