খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি ২০১৬: কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার ঘটনায় ১৭ বছর তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও পলাতক খুনিরা কেন ধরা পড়েনি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন এই জাসদ নেতার স্ত্রী রওশন জাহান সাথী।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, “এতবছর পর রায় কার্যকর হচ্ছে, এটা অবশ্যই ইতিবাচক। তবে ৫ জন আসামি এখনও ১৭ বছর ধরে পলাতক রয়েছে। কিন্তু কেন?”
কাজী আরেফের স্ত্রী রওশনের সঙ্গে কথা বলার সময় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তিন আসামির ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া চলছিল।
মধ্যরাতে সাফায়েত হোসেন হাবিব, আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মান্নান মোল্লা এখনও পলাতক। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী।
সাবেক সংসদ সদস্য রওশন বলেন, “আমরা আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের শাসন এগিয়ে যাক সেটাই আমরা চাই। এই রায় কার্যকর আইনের শাসনের জন্য ইতিবাচক।
“কাজী আরেফের একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, যিনি একাত্তরে বিএলএফ-এর সংগঠক ছিলেন। তাকে হত্যা মানে বোঝা যায়, রাজনীতি কোথায় যাচ্ছে।”
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্র“য়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয় জাসদ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফসহ পাঁচজনকে।
ওই ঘটনার পরদিন দৌলতপুর থানার এসআই মো. ইসহাক আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় জজ আদালত ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছিল।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের কয়েকজনের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ২০০৮ সালের ৩১ অগাস্ট নয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়।
হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হলে ২০১১ সালের ৭ অগাস্ট পাঁচজনের ফাঁসি এবং সাতজনের যাবজ্জীবনের রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন মারা গেছেন।