
তবে পেশা ছাড়তে চাওয়া অধিকাংশ যৌনকর্মী নাকি এখনই মমতার বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্পে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই প্রকল্প ঘোষণার পর দু’মাস কাটতে চললেও হাতে গোনা কয়েক জন নাম লিখিয়েছেন। ফলে শুরুতেই খানিকটা হোঁচট খেয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সমাজকল্যাণ দফতর।
দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পেশা ছাড়তে চাওয়া যৌনকর্মী মেয়েদের জন্য আগে ‘স্বাবলম্বন’ নামে একটি প্রকল্প ছিল। সেখানে আচার-বড়ি তৈরি, সেলাই কিংবা মশলা গুঁড়ো করার মতো পুরনো, একঘেয়ে কাজে তাদের মন নেই বলে জানিয়েছিলেন অনেক মেয়ে। তুলনায় সিনেমা-সিরিয়ালে অভিনয়ের কথা শুনে অনেকেই আগ্রহ দেখান। রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত এই ‘স্বাবলম্বন স্পেশ্যাল’ প্রকল্প।
গত ডিসেম্বরে নির্মাণভবনে নারী উন্নয়ন নিগমে যৌনকর্মী এবং যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা একাধিক সংগঠনের সঙ্গে দু’বার বৈঠক করে প্রকল্পের কথা ও কাঠামো জানিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রী জানান, স্বাবলম্বন স্পেশ্যাল-এ দু’টি কাজ শেখানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। এক, অভিনয়। এটি চার মাসের কোর্স। অন্যটি কস্টিউম জুয়েলারি তৈরি। এটি তিন মাসের কোর্স।
কিন্তু সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রেই খবর, পর্দায় অভিনয় করার জন্য প্রথম দিকে উৎসাহ দেখা গেলেও এখন যেন সেখানে ভাটার টান। এখনও পর্যন্ত অভিনয় ও কস্টিউম জুয়েলারি বানানোর কোর্স দু’টির জন্য মাত্র ১৫ জন যৌনকর্মী আবেদন করেছেন।