খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬: নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যার সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিচিত কেউ জড়িত থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
গতকাল শনিবার শহরের ২ নম্বর বাবুরাইল এলাকার একটি বাসায় একই পরিবারের পাঁচজনের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন তাসলিমা বেগম (৪০), তাঁর ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোরশেদুল (২৫) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)। প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের পাঁচতলা বাড়ির নিচতলার পূর্ব দিকের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত তাসলিমা ও তাঁর স্বামী শফিকুল ইসলামের পরিবার।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঁচটি নগরের মণ্ডলপাড়ায় অবস্থিত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আজ বেলা ১১টার পর পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বাড়ির যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেখান থেকে রান্না করা খাবার, খাবারের পাত্র ও প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এতে বিষ বা চেতনানাশক আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরীক্ষায় যদি বিষ বা চেতনানাশকের উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং হত্যাকারীদের হাতের ছাপ উদ্ধার করা যায়, তাহলে তদন্তে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হবে।
মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিচিত কেউ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, শিশুরা সম্ভবত হত্যাকারীদের চিনে ফেলেছে। তাই হয়তো তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আজ দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটটি সিলগালা করে দিয়েছে পুলিশ। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া আর কাউকে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।