Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসে একজন আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করে গর্ভবতীদের সাবধান থাকতে বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রস্তুতি সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বয়স ৬০ এর ওপরে। তার বাড়ি চট্টগ্রামে। এ ব্যাপারে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইইডিসিআর, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য। সেই নমুনা বিশ্লেষণের সময় জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। জিকা ভাইরাস নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তির শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠানো হয় ১৩ মার্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকা ভাইরাস নিশ্চিত করার পর এ ব্যাপারে আজ ঘোষণা দেওয়া হলো।
মন্ত্রণালয় বলছে, মশা থেকে দূরে থাকতে হবে প্রত্যেক গর্ভবতী নারীকে। কারণ জিকা ভাইরাসে তার গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্ক অপরিপক্ক থেকে যেতে পারে এবং শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে আকারে ছোট হতে পারে (মাইক্রোসেফালি)। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, আইইডিসিআর কর্মকর্তা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান, অধ্যাপক শামসুর রহমানও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির নানাদিকসহ সাবধানতার বিষয়গুলো অবগত করেন।
ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আক্রান্ত একজনের রক্তের নমুনা এবার পরীক্ষা করে জিকা শনাক্ত হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। ৬৭ বছর বয়সী পুরুষ রোগীটি সপরিবারে চট্টগ্রামে আছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি আরো জানান, আক্রান্ত রোগীর আশপাশের ১৫৯ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। কারোর রক্তেই জিকার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। এমনকি রোগীর পরিবারেও কেউ আক্রান্ত হননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে প্রাক-মৌসুম ও বর্ষা মৌসুম পরবর্তী সময়ে মশানিধন কার্যক্রম জোরদার করা, ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে র‌্যাপিড ডায়াগনস্টিক টুল সংগ্রহ ও সকল জেলায় তরুণদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহর থেকে এডিস মশার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জিকা ভাইরাস আছে কিনা সেটি জানতেও এডিস মশা নিয়ে গবেষণা চালানো হয়েছে। বাহকে যদি জিকা ভাইরাস পাওয়া যায়, তাহলে তার কাছ থেকে মানুষের শরীরে এ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে বলেই এ গবেষণা হয়েছে বলে জানান তারা।