Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

23খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৬: রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় খুন হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যায় সাতজন অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জুলহাজের বাসার নিরাপত্তারক্ষী পারভেজ মোল্লা। ঘটনার দিন তাঁকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে জুলহাজের বাসার ফটকের সামনে পারভেজ মোল্লা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, জুলহাজের বাসার ফটকে প্রথমে চারজন পার্সেলের তিনটি বক্স নিয়ে এসে বলে, পার্সেলগুলো জুলহাজ স্যারের। তখন পারভেজ গেটের সিটকিনি আটকে দোতলায় জুলহাজের কাছে পার্সেলের বিষয়টি জানানোর জন্য ওপরে যান। তাঁর সঙ্গে ওই চারজনও ওপরে উঠে যায়। এ সময় জুলহাজ দরজা খুললে ঘাতকদের একজন জানায়, তাঁর (জুলহাজের) নামে পার্সেল আছে। কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে জুলহাজের কথা হয়। জুলহাজ বলেন, তাঁর নামে কোনো পার্সেল আসার কথা নয়। পার্সেল এলেও পার্সেলে কী আছে, সেটা দেখবেন, তারপর পার্সেল গ্রহণ করবেন।
পারভেজের ভাষ্য, পার্সেল দেওয়ার নামে তাঁরা কথা বলার একপর্যায়ে পারভেজ ও জুলহাজ আগত ব্যক্তিদের সন্দেহ করেন। এ সময় জুলহাজ দরজা আটকে দিতে গেলে ঘাতকেরা তাঁকে বাধা দেয়। এ অবস্থায় পারভেজ ঘাতকদের বাধা দিলে ঘাতকদের একজন পারভেজের বাঁ বাহুতে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। পারভেজ বলেন, ‘তখন আমি বুঝতে পারিনি যে আমাকে কোপ দেওয়া হয়েছে।’ তারপর তিনি আবার বাধা দিতে গেলে তাঁর কপালে কোপ দেওয়া হয়। এ সময় রক্ত বের হলে তিনি চিৎকার দিয়ে নিচে নেমে আসেন। তখন ওই চারজন ঘরে ঢুকে জুলহাজ ও তনয়কে কুপিয়ে চলে যায়। কোপানোর সময় তারা আল্লাহু আকবর বলে। নিচে নামার সময় পারভেজ দেখেন, গেটের সামনে আরও দুজন ও গেটের বাইরে একজন দাঁড়িয়ে।
পারভেজ বলেন, বাসার নিরাপত্তায় তিনিসহ আরও একজন ছিলেন। এ ছাড়া কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধানকারী) ছিলেন একজন। তিনি নিচে নেমে দেখেন, কেয়ারটেকার ও নিরাপত্তারক্ষী সুমনকে গেটের পাশে একটি ছোট্ট কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটে। ঘটনার পর ঘাতকেরা পালিয়ে যায়। সবার গায়ে নীল গেঞ্জি ছিল। তা প্যান্টে গোঁজা ছিল। ঘাতকদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। সবাই গোঁফদাড়ি কামানো (ক্লিন শেভড) ছিল।