খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৬: অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতিপূর্ণ বা ভুল তথ্য দেওয়ায় তালিকাভূক্ত ৩০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গত ৭ এপ্রিল ডিএসই’র এক সংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানান ডিএসইর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএসইসির বর্তমান কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা। কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে, কোম্পানিগুলো কোন সংশোধনী না দিয়েই বোর্ড সভার মাধ্যমে নতুন প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। আর কেউ কেউ ডিভিডেন্ডও প্রদান করছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে করে বাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো নতুন করে অনিয়ম করার সুযোগ করে দিচ্ছে খোদ স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন।
ডিএসইর প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী, ওয়েবসাইটের উন্নয়ন করতে গিয়ে তালিকাভুক্ত ওই কোম্পানিগুলোর প্রান্তিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি পায় ডিএসই। কোম্পানিগুলো হলো: বাংলাদেশ সার্ভিস লি:, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, ঢাকা ডাইং, ডরিন পাওয়ার, ড্রাগন সোয়েটার, এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এএফসি এগ্রো, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, গোল্ডেন সন, ইবনে সিনা, আইএফআইসি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, লিবরা ইনফিউশন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, নর্দার্ণ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল পলিমার, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পিপলস লিজিং, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রিজেন্ট টেক্সটাইল, সাফকো স্পিনিং, সায়হাম কটন মিলস, শাশা ডেনিম, ওয়াটা কেমিক্যাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এবং ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়,
ঢাকা ডায়িং: ঢাকা ডায়িং কোম্পানির অর্ধ-বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভুল তথ্য। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কর প্রদানের পর লোকসানের পরিমান কম দেখিয়েছে। এ কারনে কোম্পারি অর্ধ-বার্ষিক শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমানও কম দেখানো হয়েছে। এসময় কোম্পানির লোকসানের পরিমান ০.৭৩ টাকা হলেও দেখানো হয়েছে ০.৭০ টাকা।
ডোরিন পাওয়ার: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি শেয়ার প্রতি আয়ের পরিমান বেশি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানি অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদনে তাদের শেয়ার প্রতি আয়ের পরিমান দেখিয়েছে ০.৬৬ টাকা। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডিএসই।
ড্রাগন সোয়েটার: সম্প্রতি তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির আয়ের হিসাব দেখিয়েছে বিভ্রান্তিকর। এসময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বেশি দেখানো হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইপিএস দেখানো হয়েছে ১.৩৪ টাকা।
এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক: কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের নয় মাসের হিসেবে মুনাফা দেখিয়েছে ১৫ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু তিন প্রান্তিকের মুনাফার হিসেব থেকে দেখা যায়, কোম্পানির এ সময় মোট মুনাফার পরিমান ১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা হওয়ার কথা ছিল। কমপ্রিহেনসিভ আয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ভুল দেখা গেছে। এ কারনে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়ের (ইপিএস) হিসেবেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক এবং ডিলিউটেড ইপিএসেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ও ডিলিউটেড ইপিএস যথাক্রমে ০.৬৬ ও ০.৪৯ টাকা হয়েছে।
এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডের ব্যবস্থাপক এল আর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের আয়ের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে বলে উঠে এসেছে। অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদনে কর পরিশোধের পর মুনাফার পরিমান ১৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা উল্লেখ করা হলেও আগের দু প্রান্তিকের হিসাব থেকে মুনাফার পরিমান আসার কথা ছিল ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এ কারনে তৃতীয় প্রান্তিকের হিসেবেও গড়মিল দেখা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ফান্ডের মুনাফার পরিমান ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা হওয়ার কথা থাকলেও দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আয়ের এ বিভ্রান্তির কারনে ইপিএসেও উঠে এসেছে বিভ্রান্তি।
বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড: বিডি সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয়ের হিসেবেও গড়মিল দেখা গেছে। কোম্পানির অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদনে কর পরিশোধের পর লোকসানের পরিমান দেখিয়েছে ১৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং তৃতীয় প্রান্তিক শেষে লোকসানের পরিমান দেখিয়েছে ২৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এ কারনে শেয়ার প্রতি আয়ের পরিমানেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমান ৪.২০ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও কোম্পানি এ হিসাব দেখিয়েছে ২.০৫ টাকা। একই ভুল হয়েছে তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএসে, প্রতিবারই শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমান কম দেখিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
বি আইএফসি: আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বি আইএফসি ২০১৫ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে লোকসানের পরিমান কম দেখিয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির লোকসানের পরিমান অনেক বেশি হলেও কোম্পানির পক্ষ থেকে কম লোকসান দেখানো হয়েছে। এ কারনে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমান কমে এসেছে। আগের প্রান্তিকগুলোর আর্থিক হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমান ৪.৪৩ টাকা হলেও কর্তৃপক্ষ একে ৩.৯৭ উল্লেখ করেছে।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: এ ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয় অস্বাভাবিক বেশি দেখানো হয়েছে। অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফান্ডর ইউনিট প্রতি লোকসান আগের প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী হয়েছে ০.০১০ টাকা। অথচ ফান্ডের ম্যানেজার এ হিসাবে দেখিয়েছে ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয়ের পরিমান হয়েছে ০.৪১ টাকা।
ইবনে সিনা: ইবনেসিনার তৃতীয় প্রান্তিকের নয় মাসের হিসেবে মুনাফা দেখিয়েছে ৮ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু তিন প্রান্তিকের মুনাফার হিসেব থেকে দেখা যায়, কোম্পানির এ সময় মোট মুনাফার পরিমান ৭ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হওয়ার কথা ছিল। কমপ্রিহেনসিভ আয় এবং কন্টিনিউইং অপারেশন থেকে আয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ভুল দেখা গেছে। এ কারনে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়ের (ইপিএস) হিসেবেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিএসেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিএস হয়েছে ৩.৫৯ টাকা।
আইএফআইসি: ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিকের নয় মাসের হিসেবে মুনাফা দেখিয়েছে ১০৫ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু তিন প্রান্তিকের মুনাফার হিসেব থেকে দেখা যায়, কোম্পানির এ সময় মোট মুনাফার পরিমান ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কমপ্রিহেনসিভ আয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ভুল দেখা গেছে। এ কারনে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়ের (ইপিএস) হিসেবেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিএসে বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিএস হয়েছে ২.১০ টাকা।
আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ছয় মাসের হিসেবে মুনাফা দেখিয়েছে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু দুই প্রান্তিকের মুনাফার হিসেব থেকে দেখা যায়, কোম্পানির এ সময় মোট মুনাফার পরিমান ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কন্টিনিউইং অপারেশন এবং কমপ্রিহেনসিভ আয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ভুল দেখা গেছে। এ কারনে কোম্পানির ইউনিট প্রতি আয়ের (ইপিইউ) হিসেবেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিইউ’তে বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিএস হয়েছে ০.১৫ টাকা যা দেখানো হয়েছে ০.২৯ টাকা।
লিবরা ইনফিউশন: কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের ছয় মাসের হিসেবে মুনাফা দেখিয়েছে ৩৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু দুই প্রান্তিকের মুনাফার হিসেব থেকে দেখা যায়, কোম্পানির এ সময় মোট মুনাফার পরিমান ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কন্টিনিউইং অপারেশন এবং কমপ্রিহেনসিভ আয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ভুল দেখা গেছে। এ কারনে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়ের (ইপিএস) হিসেবেও বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিএসে বিভ্রান্তি উঠে এসেছে। কোম্পানির বেসিক ইপিএস হয়েছে ০.৪৮ টাকা যা দেখানো হয়েছে ২.৬৯ টাকা।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক: ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিকের নয় মাসের হিসেবে টার্নওভার দেখিয়েছে ১৭০ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু তিন প্রান্তিকের টার্নওভারের হিসেব থেকে দেখা যায়, কোম্পানির এ সময় টার্নওভারের পরিমান হয়েছে ১৮৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে টার্নওভার বেশি দেখিয়েছে। তবে এ সময়ে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছে। ৬ মাসের হিসাবেও কোম্পানিটি একই ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ০.৫৯ টাকা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ০.৪১ টাকা। আর এ দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস এক (১.০০) টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ০.৯৮ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
নর্দার্ণ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছে। ৬ মাসের হিসাবেও কোম্পানিটি একই ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ১.৩৩ টাকা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ১.০১ টাকা। আর এ দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস ২.৩৪ টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ১.৯৫ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
ন্যাশনাল পলিমার: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৬ মাসের হিসাবে টার্নওভার, কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ০.৭১ টাকা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ০.৭৭ টাকা। আর এ দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস ১.৪৮ টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ১.১৮ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছে। ৬ মাসের হিসাবেও কোম্পানিটি একই ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ০.৩৭ টাকা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ০.২৪ টাকা। আর এ দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস ০.৬১ টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ০.৪৯ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটি প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৬ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) বেশি দেখিয়েছে। এর মধ্যে ফান্ডটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান করেছে। অর্থাৎ ফান্ডটির ইপিইউ প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ০.০৯ টাকা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে (০.২৫) টাকা। আর এ দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিইউ (০.১৬) টাকা লোকসান হলেও ফান্ডটি ইপিইউ ০.৪১ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটি প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৬ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) বেশি দেখিয়েছে। এর মধ্যে ফান্ডটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান করেছে। অর্থাৎ ফান্ডটির ইপিইউ প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ০.২০ টাকা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে (০.০৪) টাকা লোকসান। আর এ দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিইউ ০.১৬ টাকা হলেও ফান্ডটি ইপিইউ ০.৩৫ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
রিজেন্ট টেক্সটাইল: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে টার্নওভার, কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেশি দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
সাফকো স্পিনিং: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেশি দেখিয়েছে। ৬ মাসের হিসাবেও কোম্পানিটি একই ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ০.১৬ টাকা এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ০.১৭ টাকা। আর এ দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস ০.৩৩ টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ০.৫০ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
শাশা ডেনিম: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ১.৩২ টাকা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ১.৫৪ টাকা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ১.০৮ টাকা। আর এ তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস ৩.৯৪ টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ৩.৬৪ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
ওয়াটা কেমিক্যাল: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেশি দেখিয়েছে। ৬ মাসের হিসাবেও কোম্পানিটি একই ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ১.১৯ টাকা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ১.২১ টাকা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ০.৫৮ টাকা। আর এ তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস ২.৯৮ টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ৩.০৬ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড: কোম্পানিটি প্রথম, দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং তৃতীয় প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ মোট ৯ মাসের হিসাবে কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কম দেখিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির ইপিএস প্রথম প্রান্তিকে হয়েছে ০.৪৯ টাকা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ০.৪৪ টাকা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ০.০৯ টাকা। আর এ তিন প্রান্তিক মিলিয়ে ইপিএস ১.০২ টাকা হলেও কোম্পানিটি ইপিএস ০.৬৯ টাকা দেখিয়েছে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসকল কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি রয়েছে এমন কোম্পানিগুলোর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নতুবা তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানিগুলো একই ধরণের অনিয়ম করতে পারে।