
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় স্বাগত বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি বলেন, ‘গুলশান-শোলাকিয়ার পর বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করে জঙ্গিবাদীদের বাঁচানোর অপপ্রয়াসের মধ্যদিয়ে খালেদা জিয়া আবারো প্রমাণ করেছেন, জঙ্গিবাদী ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তার পার্টনারশীপের রাজনীতি অব্যাহত আছে।’
বেগম জিয়া ও বিএনপি যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদীদের সাথে পার্টনারশীপের রাজনীতি ছাড়তে পারবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তাদের বাঁচাতে চাওয়া হয়েছিল। জঙ্গিবাদ নির্মূলের বর্তমান প্রক্রিয়ায় যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গি-পার্টনারদেরও উচ্ছেদ করতে হবে।
সভায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন উত্থাপন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে সাফল্য অব্যাহত রাখতে প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও ১৪ দলের উদ্যোগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী নাগরিক কমিটির কাজ আরও সমন্বিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি এড. রবিউল আলম, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি এড. হাবিবুর রহমান শওকত, এড. শাহ জিকরুল আহমেদ, আফরোজা হক রীনা, শফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, নুরুল আখতার, সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল, রোকনুজ্জামান রোকন, এড. সাদিক হোসেনসহ দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ।