Sun. Oct 26th, 2025
Advertisements

10kসেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর এক প্রকাশনায় এক তথ্যানুসারে সন্ত্রাস বিরোধী ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য সফলতা ও প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবদান অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্চ পর্যায়ের সফরকে লক্ষ্য করে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্য এতে তুলে ধরা হয়।
২০১৬ সালের সন্ত্রাস বিরোধী অর্থায়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল। দক্ষিণ এশিয়ার তালিকায় ৬.৪ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম ভারত। মানি লন্ডারিং (এপিজি) ক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক রিপোর্টে বাংলাদেশকে একটি ঝুঁকিমুক্ত দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও সহিংস চরমপন্থা রোধে বেশ কিছু আইন তৈরি ও প্রবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন এ্যাক্ট-২০১২ এবং মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এ্যাসিসটেন্স অ্যাক্ট-২০১২।
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয় সনাক্ত করার জন্য ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পায় এবং মানি লন্ডারিং বিষয়ে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সদস্য পদ পায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সাফল্য পর্যবেক্ষণ করে ২০১৪ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে ফাইনান্সিয়াল এ্যাকশন টাস্ক ফোর্স তাদের ‘গ্রে তালিকা’ থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সর্বশেষ প্রতিবেদনেও একই অভিমত ব্যক্ত করা হয় এবং বর্তমান সরকারের প্রশংসা করা হয়।
সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধ সংক্রান্ত এক পর্যবেক্ষণে বলা হয় ‘বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাদের নিজস্ব কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সামর্থ্য বাড়াতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’