শরীয়তপুর: নড়িয়া ২১ মাসের এক শিশু কন্যাকে রোববার দুপুরে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে । এতে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত হয়ে রক্ত ক্ষরন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুর পরিবার। বর্তমানে শিশুটি ঢাকায় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নড়িয়া থানায় মামলা দয়ের করা হয়েছে। ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
নির্যাতিত শিশুর দাদী নুর জাহান বেগম জানান, গত রোববার দুপুরে নড়িয়া উপজেলার হালইসার সবুজবাগ গ্রামের সাদেক আলি খানের ২১ মাসের শিশু কন্যা ছামিহাকেঘরে একা রেখে পার্শ্বের বাড়িতে যায়। শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে একই গ্রামের ফার্শ্ববতী আজিজ বেপারীর ছেলে হালইসার নন্দনসার উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র জাকির হোসেন বেপারী ধর্ষনের চেষ্টা করে। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত হয়। শিশুটি চিৎকার দিয়ে কাদঁতে থাকে । কান্না শুনে মা শিশুটির মা মুন্নি বেগম ঘরে ফিরে শিশৃুটিকে কাঁদতে দেখে জাকির হোসেনের কাছে কারন জানতে চায় এবং শিশৃুটিকে কোলে নিয়ে রক্ত ঝরতে দেখে। এ ফাকে জাকির হোসেন পালিয়ে যায়। এ সময় বিষয়টি শিশুটির মা শিশুর দাদীকে জানালে সে জাকির বেপারীর বাবা মা কে জানায়। তারা এসে শিশুটিকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ঐদিন রাতের বেলায় শিশুটি যন্ত্রনায় ছটফট করলে। পরদিন সোমবার বিকেলে শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সাজেদা বেগম তাকে ধর্ষনের চেষ্টার আলামত পেলে ও কোন মন্তব্য না করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পরীক্ষার নামে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় প্রেরন করেছে। বর্তমানে শিশুটি ঢাকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার শিশুর বাবা সাদেক আলী খান বাদী হয়ে জাকির হোসেন কে আসামী করে নড়িয়া থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষনের চেষ্টাকারী জাকির হোসেন পলাতক রয়েছে।
শিশুর বাবা সাদেক আলী খান বলেন, আমার অবুঝ শিশুকে জাকির হোসেন নির্যাতন করেছে । আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
সদর হাসপাতালের ডাঃ সাজেদা বেগম বলেন, শিশুটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে এ ধরনের আলামত পাওয়া গেলে ও সঠিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
নড়িয়া থানার ওসি মোঃ ইকরাম আলী মিয়া বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।