Sat. Oct 25th, 2025
Advertisements

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ক্রয়করা ইট, সীমেন্ট ও রডসহ বিভিন্ন মালামাল বিদ্যালয় ঘর থেকে জোড় করে নিয়ে গেছে প্রভাবশালী ইউ,পি সদস্য মজিবর রহমান মজিসহ তার লোকজন।

এঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাতীবান্ধায় থানায় অভিযোগ দিলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এ খবর লেখা পর্যন্ত তা নথিভুক্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে হাতীবান্ধা উপজেলায় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী উপজেলার ভেলাগুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ইট, সীমান্ট, রডসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করে স্কুল ঘরে রাখা হয়। তবে জায়গা সমস্যার কারণে সোমবার বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের সামান্য অংশ ভেঙে সেখানে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করে রাজ মিস্ত্রীরা। এই অবস্থায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবর রহমান মজি সহ একটি তার সংঘবন্ধ দলের কয়েকজন নেতাকর্মীরা তাতে বাঁধা দেয়া। এক পর্যায়ে ওই ইউ,পি সদস্য শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ক্রয়কৃত মালামাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।

ভেলাগুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা ফরিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ে ওই শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করছিল মিস্ত্রিরা। এমন সময় মজিবর মেম্বরসহ কয়েকজন লোক এসে তাদেরকে না জানিয়ে কাজ শুরু করার জন্য বিভিন্ন ধারনের হুমকি ধামকি দেন। পরে তারা জোর করে বিদ্যালয়ের ঘরে থাকা ইট, সীমেন্ট ও রডসহ বিভিন্ন মালামাল ভ্যান যোগে তুলে নিয়ে যায়।

এনিয়ে ইউ,পি সদস্য মজিবর রহমানসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের দেয়াল ভেঙে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করায় স্থানীয় কয়েকজন বাঁধা দেয়। পরে আমি গিয়ে ৮৫ টি ইট, হাফ বস্তা খোয়া ও ১০ টি ভাঙা ইট নিয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদে জমা রেখেছি।”

ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা প্রথামিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আতিকুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাটি দেখতে একজন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেখতে চেয়েছেন। তাই এই প্রতিবেদককে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।