খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬: প্রায় ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা দুটি চালুর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর কারখানা দুটি চালু করার তারিখ নির্ধারন করেও তা আবার পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কবে কখন কারখানা দুটি চালু হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। দীর্ঘ দিন কারখানা দুটি বন্ধ থাকার কারণে ৩ লাখাধিক মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কারখানা দুটির মুল্যবান যন্ত্রপাতি। হুতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে কারখানার শত শত শ্রমিক কর্মচারী।
জানা গেছে, দেশের সেচ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩১ মার্চ ঘোড়াশাল ও পলাশ সারকারখানা দুটি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে প্রতিদিন ১৪২২ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ঘোড়াশাল ইউরিয়া কারখানা এবং প্রতিদিন ৩০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পলাশ ইউরিয়া সরকারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে বিসিআইসি গত ২২ সেপ্টেম্বর কারখানা দুটি চালু করার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। চিঠি পাবার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখান দুটি চালু করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এরপর পরই আবার ফিরতি চিঠিতে আগের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করার জন্য নির্দেশ দেয়। যার ফলে শ্রমিক কর্মচারীরা আবারো হুতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে।
ঘোড়াশাল ইউরিয়া সরকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমর কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, দেশের সেচ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোড়াশাল সারকারখানা ও পলাশ সারকারখানার গ্যাস সংযোগ এবছরের ৩১ মার্চ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে প্রায় ৬ মাস যাবত কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। কবে কারখানা চালু হবে তা নিশ্চিত করে বলার কোন সুযোগ নেই। তিতাস কর্তৃপক্ষ যেদিন গ্যাস সংযোগ পূনস্থাপন করবে, সেদিন থেকেই কারখানার উৎপাদন শুরু হবে। তবে পেট্রোবাংলা আমাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল এমাসের ২২ তারিখ গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। কিন্তু পরক্ষনেই আবার চিঠি দিয়ে আগের চিঠির কার্যকারীরা স্থগিত করে দিয়েছে।
কারখানা বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতির বিষয়ে তারা জানান, কারখানা সম্পূর্ণ চালু না থাকলে কিছু ক্ষতি হয়। তবে আমাদের কারখানাটি সম্পূর্ণ চালিয়ে রেখেছি শুধু ইউরিয়া উৎপাদন হচ্ছেনা। যারফলে তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। যাকিছু ক্ষতি হয়েছিল তা আমরা ইতিমধ্যেই শেষ করে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।