Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৬ : সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তানকে ২৮০ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবাল ও ওয়ানডাউনে নামা সাব্বির রহমান এবং শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান সংগ্রহ করেছে মাশরাফি বাহিনী।

দলের পক্ষে তামিম সর্বোচ্চ ১১৮ রান করেন। এছাড়া সাব্বির ৬৫ ও রিয়াদ ৩২ রান করেন। শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বাজেভাবে আউট হন ওপেনার সৌম্য সরকার। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে ব্যক্তিগত ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। সৌম্য ফিরে যাওয়ায় সাব্বিরকে প্রমোশন দিয়ে ওয়ানডাউনে আনা হয়। ওয়ানডাউনে এসেই তামিমের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরেন সাব্বির। তাদের জুটিতে আসে ১৪০ রান।

সাব্বির তুলে নেন নিজের তৃতীয় অর্ধশতক। ৭৮ বলে ৬৫ রান করে আউট হন সাব্বির। ৩টি ছয় ও ৬টি চারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। সাব্বির ফিরলেও প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছ থেকে ফিরে আসা তামিম এবার আর ভুল করলেন না। ব্যক্তিগত ৭ম সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১১৬ বলে ১১৮ রানে আউট হন তামিম। ১১টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

তামিম ও সাব্বিরের ভালো জুটির কারণে একসময় মনে হয়েছিল ৩শ বা তারও বেশি রান হবে স্বাগতিকদের। কিন্তু সাব্বির ও তামিমের বিদায়ের পর যেন ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের।

তামিম আউট হলে উইকেটে টিকতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তিনি ৩৫ বলে মাত্র ১৭ রান করে আউট হন। এরপর দ্রতই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক ও মোসাদ্দেক। মুশফিক ১২ ও মোসাদ্দেক ৪ রান করেন। প্রথম বলে ৪ মেরে ভালো কিছু করারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু রশিদ খানের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এ অলরাউন্ডার।

৮ বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামা মোশাররফ হোসেন রুবেলও হতাশ করেন। ১৪ বলে করেন মাত্র ৪ রান।

শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৭৯ রান তোলে টাইগাররা। রিয়াদ মাত্র ২২ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন।

তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ এ সমতা রয়েছে। তৃতীয় ও শেষ এই ম্যাচে জয় পেলে শততম ওডিআই ম্যাচ জয়ের স্বাদ পাবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।