তিনি আজ বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৬ উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন। আগামীকাল সোমবার থেকে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৬ পালিত হবে।
রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৬ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, শিশুরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ রূপকার। আজকের শিশুদের হাতেই ন্যস্ত হবে আগামী দিনের নেতৃত্ব। তারাই ভবিষ্যতে বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশও শিশু অধিকার সনদে অনুস্বাক্ষরকারী দেশগুলোর অন্যতম।
শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বিনোদনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর জীবন ও জীবিকা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর পাশাপাশি প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ ও ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’।
তিনি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, এসব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে তাদের মধ্যে শৈশব থেকেই দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৬ উদ্যাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহমমতা ও নিরাপদে বেড়ে উঠুকÑ আজকের দিনে এই আমার একান্ত প্রত্যাশা।’
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৬ এর সাফল্য কামনা করেন।
