খোলা বাজার২৪,সোমবার,০৩ অক্টোবর, ২০১৬ : টানা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল। নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে মাথা গোঁজার ঠাঁইসহ অনেকের কৃষি জমি। ছোট শিশুদের সাথে সাথে বয়স্কদের নিয়ে চরম কষ্টে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে সর্বহারা এসব পরিবার। গৃহপাতিল পশুসহ যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে চরম বিপদে তারা। এ চিত্র রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দা উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের। প্রশাসন থেকে আশ্রয় দেয়ার কথা থাকলেও আজও মিলছে না আশ্রয়। পাচ্ছে না কোনো রকম সাহায্য। : গত দুই মাস আগে দেশের বিভিন্নস্থানের মতো গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্লাবিত হয়ে তাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে। তাদের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পদ্মার প্রবল ভাঙনে ভিটে মাটি ছাড়া হয়ে মহাসড়কের পাশে আশ্রয় নেয়। এদের সামান্য কিছু পরিবার আর্থিক সামর্থ্য থাকায় বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ঘর সরিয়ে নিয়েছে। দৌলতদিয়ার ছিদ্দিক কাজীপাড়া, ছাত্তার মেম্বারপাড়াসহ ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ১৫০টি পরিবার এখনও মহাসড়কের পাশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। তাদের ঘর তোলার কোনো জায়গা নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙন কবলিতরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই পাশে তাদের ঘর বাড়িগুলো যেভাবে স্তূপ করে রেখেছিল সেভাবেই রয়েছে। সামান্য আয়ের দিনমজুররা তাদের পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গরু ছাগল নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। এদের ঘর তোলার মত কোনো জমি নেই। এরা সবাই দিন এনে দিন খায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ ঘোষ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশ্রায়ন প্রকল্পে আমাদের ঠাঁই করে দেয়ার কথা বললেও আজো তার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। – See more at: http://www.dailydinkal.net/2016/10/03/28964.php#sthash.Yz8m7nOa.dpuf