Tue. Oct 21st, 2025
Advertisements

17খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ : প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন ফি নেয়া কেন বে আইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই ফি নেয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব ও শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইজহারুল হক আকন্দের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
গত ৩ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘বৃত্তপ্রাপ্তদের কাছ থেকে টিউশন ফি! নির্দেশ মানছে না অনেক দামি স্কুল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় বৃত্তি পাচ্ছে তাদের কাছ থেকে বেসরকারি নামী স্কুলগুলো ভর্তি ফি, নিবন্ধন ফি, উন্নয়ন ফি ও টিউশন ফিসহ সব ধরনের অর্থ আদায় করা হচ্ছে। ফলে বৃত্তি পাওয়ার মাধ্যমে ততটো আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে না স্বীকৃত এসব মেধাবীরা। রাজধানীর ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরো মাসিক বেতন দিতে হচ্ছে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকল মেধা বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করবে।
ইত্তেফাকের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহম্মদ আমীর হোসেন। প্রতিবেদন উপস্থাপনের পরই আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।