খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬: শেরপুরের কালীগঞ্জ গ্রামের মৃগী নদীতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে শেরপুর শহরের উত্তর কালীগঞ্জ গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আরাফাত ইসলাম (৬) ও তার ফুফাতো বোন সোহানা বেগম (৩)। নিহত আরাফাত ইসলাম কালীগঞ্জের এম এ পাবলিক স্কুলের নার্সারীর ছাত্র। ২ অক্টোবর রবিবার বিকেলে মৃগী নদীর পাড়ে খেলা করার সময় ওই দুই শিশু পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা নদী থেকে সোহানার লাশ উদ্ধার করলেও আরাফাতের কোন খোঁজ মেলেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও তাদের ময়মনসিংহের ডুবুরি দল রাত ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে নদীর উত্তর প্রান্ত থেকে আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা গার্মেন্ট কর্মী বিউটি আক্তার মেয়ে সোহানাকে নিয়ে রবিবার দুপুরে গাজীপুরের কর্মস্থল থেকে শহরের উত্তর গৌরীপুর এলাকার বাবা জহুর আলী মিস্ত্রীর বাড়ী বেড়াতে আসেন। বিকেল ৫ টার দিকে মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন সোহানা ও আরাফাত বাড়ীর পাশের মৃগীর নদীর ধারে খেলা করতে যায়। কিন্তু খেলাচ্ছলে দুই শিশুই নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হলে স্থানীয় লোকজন খোঁজখুজির পর সন্ধ্যায় নদী থেকে শিশু সোহানার লাশ উদ্ধার করে। শিশু আরাফাতের কোন সন্ধান না পেয়ে দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হলে সহকারী উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দমকল কর্মীরা নদীতে অনুসন্ধানে নামে। কিন্তু তারাও কোন কিনারা করতে না পেরে খবর দেওয়া হয় ময়মনসিংহে দমকল বিভাগের ডুবুরিদের। রাতে নদীতে অভিযান চালানোর এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে ডুবুরি ইদ্রিস আলী শিশু আরাফাতের লাশ উদ্ধার করেন। এসময় নদীর দুই তীরে শত শত উৎসুক মানুষের ভীড় জমে যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী শেরপুর দমকল বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।