খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৬: দিনাজপুর : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের সমস্যা ও সম্ভাবনা যাচাইয়ে আজ বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে আসছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। দুপুরে বন্দরের পানামা হিলি পোর্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে অংশ নিবে ভারতের কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ সহ সেদেশের ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দও। এদিকে এ বৈঠক নিয়ে আশার আলো দেখছেন স্থানিয় ব্যবসায়িরা। ১৯৮৭ সালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য। আর তখন থেকেই বানিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্থলবন্দর। ফলে এই স্থলবন্দরকে আরও গতিশীল, আধুনিকায়ণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আসছে সরকারের এই প্রতিনিধিদলটি। ব্যবসায়িরা বলছেন, সরকার ২০০৭ সালে হিলি স্থলবন্দরে অল্প পরিসরে অবকাঠামো নির্মাণ করলেও গত ৮-৯ বছরে নির্মাণ করা হয়নি পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট প্রশস্তকরণ কাজ। ফলে বাড়ছে না ব্যবসা-বানিজ্য। ভারত থেকে শুধু হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য আমদানি করা হলেও রপ্তানি করা হয় না কোনো পণ্য। বন্দরটি দিনদিন গতি হারিয়ে ফেলায় ব্যবসায়িরা চলে যাচ্ছেন অন্য বন্দরে। ফলে সরকারের কাঙ্খিত রাজস্ব আয় করতে পারছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন এর সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন জানান, এই সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে ব্যবসা-বানিজ্যের বাধা দুর করে আরও গতিশীল করা হলে কর্মসংস্থান যেমন সৃষ্টি হবে, তেমনি লাভবান হবে দুই দেশের সরকার এমনটাই মনে করছেন বন্দরের দুই অংশের ব্যবসায়িরা ও কর্মকর্তরা।