সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। গ্যাস সংযোগের দাবিতে কর্মসূচিতে পুলিশের এমন আক্রমণাত্মক মনোভাবের সমালোচনা করছেন এলাকাবাসী। কেন এতে বাধা দেয়া হলো, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগর উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে গ্যাস সংযোগের দাবি এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ার দাবিতে মানববন্ধনে দাঁড়ায় এলাকাবাসী। কয়েকশ মানুষের এই কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীও ছিলেন। তারা ফুটপাতেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি জানাচ্ছিলেন।
কর্মসূচিতে ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শহর আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীও।
হঠাৎ ঘটনাস্থলে আসে সাদা পোশাকে এক দল পুলিশ। শুরু হয় বেধড়ক লাঠিপেটা। ভরকে যাওয়া মানুষগুলো শুরু করে অসহায় ছুটাছুটি। এর মধ্যে পুলিশ যাকে পেয়েছে, পিটিয়েছে তাকেই। পরিচয় জানানোর পরও বাদ পরেনি সাংবাদিকরাও। পরে আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকরাও। জেলা প্রশাসন বলছে, এই মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কেউ অনুমোদন নেয়নি। আহত একাধিক মানুষ বলেন, পুলিশ এসে তাদেরকে ভালোভাবে বলতে পারতো। সেটা না করে এভাবে মারধরের কোনো মানে হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা কোনো বক্তব্য দিতে চাননি।