Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪ মঙ্গলবার, ১১অক্টোবর, ২০১৬: বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি রোধে তাদেরকে কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এতে দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। ফলে কর ফাঁকি রোধের পাশাপাশি মুদ্রা পাচার ও চোরাচালানের মত ঘটনা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকার এরই মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবি আর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে সভাপতি করে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি তথ্যভাণ্ডার তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করেছে।
এনবি আরের একটি সূত্র বলছে, বর্তমানে পাঁচ লাখের অধিক বিদেশি নাগরিক দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু নিয়মিত কর দিচ্ছেন মাত্র ১১ হাজার। বিদেশি নাগরিকদের সঠিক হিসাব বা তথ্যভাণ্ডার না থাকায় তাদেরকে করের আওতায় আনা যাচ্ছে না। তবে এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি হলে এসব বিদেশি নাগরিকদের সহজেই করের আওতায় আনা যাবে।
এ প্রসঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের আয়করবিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব ও এনবি আরের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস, লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে তথ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর ফাঁকি রোধে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ টাস্কফোর্স দুটি মূলত মাঠপর্যায়ে কাজ করবে।
আবুল কালাম আজাদ জানান, টাস্কফোর্স দুটি এরই মধ্যে সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকৃত বিদেশি কর্মীদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করতে একটি সফটওয়্যার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে বিদেশিদের আগমন ও বহির্গমনের সব তথ্য এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত হবে।
আগামী অর্থবছরে মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের এই তথ্যভাণ্ডারের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এনবি আরের প্রথম সচিব।
এনবি আরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে বিদেশিরা কাজ করছেন। তবে দেশী প্রতিষ্ঠান তাদের সঠিক তথ্য এনবি আরকে দিচ্ছে না। এর বাইরে অনেক বিদেশি অবৈধভাবেও দেশে অবস্থান করছেন বলে তথ্য রয়েছে। ফলে বিষয়টি রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব বিদেশিকে তথ্যভাণ্ডারের মধ্যে আনতে বিনিয়োগ বোর্ড ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বিমানবন্দরে আয়কর বুথ স্থাপন করে বিদেশিদের আগমন ও বহির্গমনের তথ্য নেওয়া হবে।
বিদেশি নাগরিকের আয়কর নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে স্পন্সর বাধ্যতামূলক করাসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদেশিদের ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তনে এনবি আরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আয়কর প্রত্যায়নপত্র দাখিল করতে হবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে।