খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ১০ মহররম সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিলো এক শোকাবহ ঘটনা। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এ দিনে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং বেদনার্ত করে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
মঙ্গলবার রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তিনি এ সব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেছেন, অন্যায়, অবিচার, অন্যায্য ও অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। ইসলাম আমাদেরকে সেই শিক্ষাই দেয়। মহানবী (সাঃ) অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য যেকোন গণবিরোধী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠির কৃত অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ), তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ এবং কারবালার সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে অপরদিকে, পৃথক এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রলেন, হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর শাহাদাত বরণের শোকাবহ স্মৃতি বিজড়িত দিন ১০ মহররম আমাদেরকে আজো গভীর দূ:খ ভারাক্রান্ত ও বেদনার্ত করে তোলে। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে গিয়ে তিনি এ দিনে জালিমের হাতে শহীদ হন। ব্যক্তিগত কোন অভিলাষ নয় বরং অবিচার, জবরদস্তি আর মিথ্যা অহংকারকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাঁর নিজের আত্মত্যাগের ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে প্রতিবাদী হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে। আজকের এ দিনে আমি হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।