Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
indexfsdfsdfwer

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬: মিয়ানমারের মংডুর সীমান্ত চৌকিতে রবিবারের সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের ২৫০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী দুদিকে আটকা পড়েছে। বাংলাদেশীরা ফিরতে পারলেও প্রায় দু শ’ মিয়ানমারের নাগরিক এখনো কক্সবাজারে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বিবিসিকে জানিয়েছেন রবিবারের মংডুতে হামলার পর থেকে মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সীমান্ত বাণিজ্য রবিবার থেকে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

আলী হোসেন জানান, রবিবারের ঘটনায় মংডুতে আটকে পড়া ৪০ জনের বাংলাদেশিকে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ বাহিনী মঙ্গলবার বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

মিয়ানমারের ২১৬ জন নাগরিকের মধ্যে ৪০ জনকে মঙ্গলবার নিরাপদে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

৭২ ঘণ্টার ভিসা নিয়ে মূলত ব্যবসায়ীরা মংডু ও কক্সবাজারের মধ্যে যাতায়াত করেন।

গত রবিবার অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা মংডুতে মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশের চৌকিতে হামলা চালালে অন্তত নয়জন রক্ষী মারা যায়। হামলাকারিরা অনেক অস্ত্র নিয়ে যায়।

ঐ ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে অব্যাহত সংঘর্ষ চলছে। অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কক্সবাজারের সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ রোহিঙ্গা কিছু সূত্র উল্লেখ করে বলেন, বুধবার রাতেও আরাকান রাজ্যের বাংলাদেশে সীমান্তের কাছাকাছি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত একটি বাজারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দুপুর পর্যন্তও বহু দোকানে আগুন জ্বলিছলো। নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এই খবর অবশ্য নিশ্চিত করা যায়নি।

টেকনাফের চিংড়ি ব্যবসায়ী হারুন শিকদার সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদকে জানিয়েছেন, নাফ নদীর উল্টোদিকে তিনি সকালে একাধিক হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন।

বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বিজিবির টেকনাফ এরিয়া কম্যান্ডার লে ক আবুজর আল জাহিদ বিবিসিকে বলেছেন, মঙ্গলবার নাফ নদীতে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের সাথে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের বৈঠক হয়েছে।

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে কোনো ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে চরম সতর্কতা নিচ্ছেন তারা।

গত কদিনে এরকম চারজন অনুপ্রবেশকারীকে ধরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মাধ্যমের খবরে বলা হয় সীমান্ত পুলিশের বেশ কয়েকটি চৌকিতে হামলার জন্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সন্দেহ করছে সরকার।