খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬: উন্নয়ন ও ভূরাজনীতিতে চীন যে ভূমিকা রাখছে, বাংলাদেশ তার পাশে থাকবেÑ বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শি জিনপিং। চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, ‘চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সব সময় আশা করে, চীন তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সব সময় সহযোগিতা করবে ও পাশে থাকবে।’ ‘একই সঙ্গে চীনও আশা করে, চীনের যে উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা পালন করছে বিশেষ করে উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তীব্র সমর্থন জোগাবে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।’ : বিমানবন্দর সড়কে লো মেরিডিয়ান হোটেলের ১৪ তলায় প্রেসিডেন্ট স্যুটে ৪০ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। : চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈঠকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উল্লেখ করেছেন যে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে। তারপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অকৃত্রিম সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। চীন বাংলাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অকৃত্রিম বন্ধু।’ বেগম খালেদা জিয়া আশা করেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যক্রম, বিশেষ করে উন্নয়নকাজে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং পাশে থাকবে। মির্জা ফখরুল বলেন, চীন আশা করে, ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে উন্নয়ন ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ তাকে সমর্থন করবে। : এর আগে দুপুরে এক বিবৃতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশ সফরের জন্য স্বাগত জানান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত নিবিড়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণ চীনের অব্যাহত সহযোগিতার কথা স্মরণ করে। শি জিনপিংয়ের এই সফর নিঃসন্দেহে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আড়াই ঘন্টা পর বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে বিমানবন্দর সড়কে লো মেরিডিয়ান হোটেলে চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ বৈঠক হয়। : বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। : চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আসা কয়েকজন মন্ত্রী ও ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং উপস্থিত ছিলেন। : এর আগে হোটেল স্যুটে সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন। : সকাল সাড়ে ১১টায় দু দিনের সফরে ঢাকায় আসেন শি জিনপিং। গত তিন দশকে তিনিই চীনের প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি বাংলাদেশে এলেন। ২০১০ সালে শি জিনপিং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঢাকা সফর করেছিলেন।