খোলা বাজার২৪ মঙ্গলবার, ১৮অক্টোবর, ২০১৬: ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলার আসামি আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের (৪৫) ফাসিঁ কার্যকরের পর সোমবার ভোররাতে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর উত্তরকান্দী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
খুলনা কারাগারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা আরিফের ফাঁসি রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় কার্যকর হয়। পরে কড়া নিরাপত্তায় আরিফের মরদেহ তার শশুর বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর উত্তরকান্দী গ্রামে আনা হয়। উদয়পুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান মোল্লা বলেন, মরদেহ গ্রামে আনার পর কবরস্থান প্রাঙ্গণে আরিফের নামাজে জানাজা শেষে পুলিশ প্রহরায় উদয়পুর উত্তরকান্দী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। আরিফের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এ গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে যাওয়ার পথে দুই বিচারককে বহনকারী মাইক্রোবাসে বোমা হামলা করে জ্যেষ্ঠ বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ওই মামলায় ২০০৭ সালের ২৯ র্মাচ অপর ৬ জঙ্গির ফাসিঁ কার্যকর হয়। তারা হলো জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক। ওইসময় আরিফ পলাতক ছিল।
পরে পুলিশ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে তাকে আটক করে। এরপর রবিবার রাত সাড়ে ১টায় খুলনা কারাগারে আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।