Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

21খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন সদস্যদের নিয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আরো দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধরী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার উমি রহমান।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তবারক হোসেন ও সুব্রত চৌধুরী। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন শ ম রেজাউল করিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম নাজমুল হক।
পরে আইনজীবী তবারক হোসেন বলেন, তিনটি সংগঠনের সদস্যেদের নিয়ে গঠিত ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও যথাযথ সম্মান প্রদানের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তবে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ওই প্রজ্ঞাপনকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট নতুন প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে নতুন প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সরকার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন আদালত।