কারণ :
গর্ভবস্থায় মাইগ্রেনের জন্য অনেকেই গর্ভধারন হরমোনকে দোষ দিয়ে থাকেন৷ তবে হরমোন একমাত্র দোষী নয়৷ গবেষকেরা বলছেন, স্নায়ু পথ পরিবর্তন, মস্কিষ্কে কেমিক্যালের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া এবং মস্কিষ্কে রক্ত সরবরাহ বেড়ে গেলেও মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে৷
এছাড়াও স্ট্রেস, ক্লান্তি, চড়া আলো, হট্টোগোল, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পরিবেশ এবং যে খাবার গুলি গর্ভবস্থায় খাওয়া উচিত নয় সেগুলির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ কম হলে এবং জলের পরিমাণ কমে হলেই মাথা ম্যথার প্রকোপ বাড়ে৷
মাইগ্রেনে আক্রান্ত অবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ :
যদি গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেনে আক্রান্ত হয় তবে কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা এই সময় অনেক ওষুধ চাইলেও সেবন করা যাবে না। রক্তে শর্করাস্বল্পতা ও পানিশূন্যতা মাথাব্যথার পরিমাণ বাড়ায়। তাই এ সময় ঘন ঘন কম পরিমাণে আহার করতে হবে, প্রচুর পানি খেতে হবে এবং শর্করাজাতীয় খাদ্য অল্প পরিমাণে হলেও খেতে হবে। এর জন্য চাই প্রচুর বিশ্রাম।
ওষুধ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নিরাপদ। তবে অন্য সময় মাইগ্রেনে যেসব ওষুধ দেওয়া হয় যেমন কোডিন, ট্রিপট্যান বা আরগোটঅ্যামাইন ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ। শিথিলায়ন পদ্ধতি কাজে আসতে পারে। মানসিক চাপ কমান, হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।