খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০১৬: বাংলাদেশের জনগণের কোন ধরণের সমস্যা হলেই প্রথমে পুলিশের দারস্থ হয় এবং সমাধান হিসেবে ভাল মন্দ যা করার সবই কিন্তু পুলিশ করেন। এমতাবস্থায় পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে যদি রাজনৈতিক প্রভাব থাকে, তাহলে আমার মতে পুলিশ মুক্তভাবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে না। যার জন্য পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক হ্যালো বা হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কিছু পুলিশের মহৎ কাজের জন্য জনগণের কাছে তারা মহান হয়ে থাকেন। যার ফলে এখানে আমরা যদি কোন একটা রহস্য ঘিরে রাখি তাহলে দেখা যায় যে, ওই সকল বিষয়ের কারণে সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্ক মাথায় নিতে হয়। এখানে তিনি চট্টগ্রামের বাবুল আক্তারের বিষয়টিকে বোঝাতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা পুলিশ দুর্নীতি মুক্ত না। যেটা সাম্প্রতিকালে আরও ব্যাপক। এর কারণ কি? এর কারণ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। পুলিশ বাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এমনভাবে বিস্তার হয়েছে, যেখানে পুলিশ নিজেরাই নিজেদের মতকরে ভূমিকা রাখতে পারছে না। জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, এর কারণ হয়তো বা বেতন ভাতা কম থাকার কারণে হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি আরও অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে। তার পরেও কেন এটা আমার প্রশ্ন? যদিও মনে হচ্ছে আস্তে আস্তে এই সমস্যা অবসান ঘটবে। কিন্তু তার পরেও এর আগেই পুলিশ বাহিনীকে রাজনীতিক মুক্ত রাখা দরকার। আর এটা যতক্ষণ পর্যন্ত করা সম্ভাব হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীর দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবে না।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা বড় চাকরি নিতে গেলে টাকা ছাড়া চাকরি হয় না। যে টাকাটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ভাগাভাগি করে হ্যালোর মধ্য দিয়ে চাকরিটা পাইয়ে দিচ্ছে। যেখানে চাকরি প্রাপ্ত ওই ব্যক্তির প্রথম লক্ষ্যই থাকে টাকটা কি ভাবে তুলবে। যার ফলে তারা ঘুষ খাওয়া শুরু করে। অতএব আমাদের পুলিশ বাহিনীতে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধ করার বিষয়টা রাষ্ট্রপ্রধানদের মাথায় রাখতে হবে।