খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী তিনটি শাটল ও সড়ক অবরোধ করে রেখেছে দিয়াজের অনুসারী বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে দিকে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশবাহী এম্বুলেন্স হাটহাজারী সড়কের ফতেয়াবাদ এলাকা পার হবার পর এ অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সকালে ফতেয়াবাদ স্টেশন ও ষোলশহর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে। একই সময়য়ে নগরীর প্রবর্তক এলাকায় প্রায় ২০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখলে প্রর্বতক, ষোলশহর ও মেডিকেল কলেজ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় বিশাল যানজট।এরপর এবার হাটহাজারী সড়ক অবরোধ করছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের অনুসারীরা।গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি অবরোধের ফলে উভয় পাশে বর্তমানে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে। আটকা পড়েছে ওই সড়কে চলাচলকারী বিপুল পরিমাণ যানবাহন। এদিকে ট্রেন চলাচল না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা দিতে যাওয়া বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্যন্য যাত্রীরা।
ষোলশহর স্টেশন মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল ৮টা ২০ এর শাটল ট্রেন ও ৯টার ডেমু ট্রেনটি ফতেয়াবাদ স্টেশনে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন দুটি আটকে রেখেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদিকে ষোলশহর স্টেশনে ৯টা ৪৫ দিকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তারা। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
দিয়াজের অনুসারী ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আলী আহসান রবিন বলেন, দিয়াজ ভাইয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা সর্বাত্মক অবরোধ ডেকেছি। দোষীদের গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত এ অবরোধ চালিয়ে যাবারও ঘোষণা দেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ট্রেন অবরোধের খবর বিষয়টি জেনেছি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইট এলাকায় নিজ বাসার কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি বিশ্ববদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলীগের সহ সম্পাদক।