Tue. May 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৮: বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

রবিবার ধর্মমন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ‌্য জানান ধর্মমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, অন্য বছরের মতো এবারও মোট হজযাত্রী শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিডেট এবং শতকরা ৫০ ভাগ সাউদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স বহন করবে। হজযাত্রীর কোটা বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলেও জানান মতিউর রহমান।

সৌদি রাজকীয় সরকার সব ধরনের ক্রয় ও সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই সিদ্ধান্ত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। আবাসন, খাদ্য ও পরিবহনের উপর এর প্রভাব পড়বে। ভ্যাট হজযাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে চায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেন বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকেন। ভ্যাট কোথায় কোথায় ছাড় পাওয়া যাবে সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। সেগুলো জানার পর আমরা প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবো। এজন্য সপ্তাহ দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে।

পানিপথে জাহাজের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিলেও সৌদি আরব এই প্রস্তাব অনুমোদন করেনি বলেও জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছর ভারত থেকে ৫-৭ হাজার হজযাত্রী জাহাজে সৌদি আরব যেতে পারবেন। জাহাজে করে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। এটা জানার পর আমরাও জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সৌদি সরকার তা অনুমোদন করেনি। কারণ মুম্বাই থেকে জাহাজে করে সৌদি যেতে সময় লাগে মাত্র ৩-৪ দিন। কিন্তু বাংলাদেশের সময় লাগবে ১৭-১৮ দিন। খরচ কমানোর জন্যই এই আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু তারা অনুমোদন করেনি।

তিনি বলেন, এবারের হজের জন্য এরই মধ্যে মুসল্লিরা প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন করেছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ জন। এটা বাছাই করার পর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরুর কথা রয়েছে। যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

প্রি-রেজিস্ট্রেশনের বিপরীতে কোটা বাড়ানোর আবেদন করেছেন কিনা- জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, কোটা বাড়াতে আবেদন করেছি। সৌদি সরকার আবেদন বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, গত বছর যেসব হজ এজেন্সি অনিয়ম করেছে, যাদের মাধ্যমে হজে গিয়ে বাংলাদেশিরা ফিরে আসেননি, চুক্তি অনুযায়ী সেবা দেয়নি এবং চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তকাজ শেষ হলেই সেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।