হায়দার আকবর খান রনো – খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮: আগামী জাতীয় নির্বাচন সব দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমি আশা করি। এর আগে ২০১৪ সালে যে নির্বাচনটি হয়েছিল, সেটিতে আমরা অংশগ্রহণ করিনি। তবে এখন ঐ পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করিনা। আগামী জাতীয় নির্বাচন এই বছরই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যদি সংগ্রামের প্রয়োজন হয় তাও করা হবে । বড় বড় দলগুলো বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে । সত্যিকার অর্থে নির্বাচন স্বচ্ছ হতে গেলে কতগুলো শর্ত থাকে, ‘ যেটিকে বলা হয় ‘লেভেল প্লানিং ফিল্ড‘ ।
সেক্ষেত্রে কয়েকটা বিষয় আছে ,একটি হলো, টাকার ছিটাছিটি বন্ধ করতে হবে। তাহলে নির্বাচনটি সুষ্ঠু হবে বলে মনে করি। যদিও সেরকম কোনো সম্ভাবনা আমি এখন পর্যন্ত দেখছিনা। নির্বাচনী প্রচারে সাম্প্রদায়িক যে প্রচার সেটি যদি স্বচ্ছ না হয়, তাহলে নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে মনে করা যেতে পারেনা। তৃতীয়ত যে কথাটি, সেটি হলো আগের মতো গুন্ডামী যেন না হয়। আমরা দেখেছি উপজেলা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। সবশেষে ইউনিয়ন নির্বাচনেও যেটা দেখলাম লতিফ কমিশনারের আওতায় পুলিশ দিয়ে সিলমারা ও দলীয় লোকের গুন্ডমী এগুলো যেনো না হয় । গত নির্বাচনে সিপিবি অংশগ্রহণ করেনি সেটি কি ভুল ছিলো এটি বলতে চাই না। আমরা ভুল করিনি । শুধু আমরা কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি ।
বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সম্ভব অসম্ভব বলে আমি মনে করিনা । কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করতে হবে । আর সে দায়িত্ব হলো সরকারের । তবে একই সঙ্গে আমি বলতে চাই বিএনপি আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্যে আস্থা অনাস্থার বিষয়টি আসছে, সেটাও আমি উডিয়ে দিতে চাইনা । আর একটা কথা বিএনপি যতদিন পর্যন্ত জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে থাকবে, ততদিন জনগণ তাদের পাশে থাকবেনা । জামায়াততো একটি যুদ্ধাপরাধী দল, শুধু তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়নি । জামাতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত। সব মিলিয়ে আমি আশা করি, এবছর নির্বাচনে সুষ্ঠু করতে, সরকারকে সব দলের সাথে সমঝোতা করা উচিত। তাহলে একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
পরিচিতি : সভাপতিম-লীর সদস্য, সিপিবি