খােলা বাজার২৪। রোববার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮: মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। মুদ্রা সরবরাহ বাড়লে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়। তাই মুদ্রা সরবরাহ যতটা সম্ভব সংকুচিত রাখতে হবে। আবার শুধু মুদ্রা সরবরাহ কমালেই মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা যাবে না। তাই একটি সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
চলতি সপ্তাহে মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এমনিতেই অনেক বেশি। আবার দ্রব্যমূল্যের দাম যেন না বাড়ে এ বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার। এখন আমাদের মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগের উপর নিবিড় তত্ত্বাবধায়ন করতে হবে। বেসরকারি খাতে যেন বিনিয়োগ ব্যাহত না হয়, বিনিয়োগ যেন উৎপাদনশীল খাত, কৃষি এবং এসএমইতে যায় এবং সরকারি খাতে যেন ঋণ না যায় এ বিষয়ে নজর দিয়ে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, নির্বাচনি বছরে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায়। বর্তমান সরকারের মতো দুর্বল সরকারের পক্ষে এটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ২ বা ৩ অতিক্রম করলে দরিদ্র জনগণের ওপর প্রভাব পড়বে। সেজন্য মুদ্রা সরবরাহ যতটা সম্ভব সংকুচিত রাখতে হবে। অন্যান্যবার আমরা বলি সংকুলান নীতির কথা, আর এবার বলবো মুদ্রানীতিতে সংকোচন নীতি গ্রহণ করার কথা।
অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মুদ্রানীতিতে এখন তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। প্রথমত. ব্যাংকিং খাতে ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত ঋণের মাত্রা কীভাবে কমানো যায়। দ্বিতীয়ত. সাম্প্রতিকালে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে। এই ঋণ উৎপাদন খাতে যাচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করা। তৃতীয়ত. সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে কীভাবে সুসাশন প্রতিষ্ঠা করা যায়, সেই বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দেয়া। এই বিষয়গুলো প্রত্যক্ষভাবে মুদ্রানীতির অংশ নয়, তবে মুদ্রানীতিতে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। তা ছাড়া অন্য বিষয়ে আগের মুদ্রানীতির তেমন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।